|
|
|
|
মেঘালয় |
জেলে গারো জঙ্গি হানায় হত দুই কর্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
নির্বাচনের আগে ফের বড় আঘাত হানল গারো জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ। যখন জিএনএলএ-র সন্ত্রাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে মনে করছিল রাজ্য পুলিশ, তখনই একেবারে কারাগারে ঢুকে সহকারী জেলার ও ওয়ার্ডারকে হত্যা করে সোহন ডি শিরা বার্তা দিয়ে গেলেন মেঘালয়ে নির্বাচন মোটেই শান্তিপূর্ণ হবে না।
যে ভাবে জেলের ভিতরে ঢুকে দুই জেল আধিকারিককে হত্যা করে বিনা বাধায় জিএনএলএ জঙ্গিরা পালিয়ে গিয়েছে, তাতে অনুমান, এই ঘটনায় ভিতরের কর্মী ও জেলরক্ষীদের কেউ কেউ জড়িত। পার্বত্য পূর্ব গারো জলার জেলাশাসক বিজয় মন্ত্রী জানান, রাত ৯টা নাগাদ এ কে-৪৭ রাইফেলধারী আটজন জঙ্গি উইলিয়ামনগর কারাগারে হানা দেয়। কারাগারের ছোট একটি দরজা দিয়ে ঢুকে সোজা সহকারী জেলারের ঘরের দিকে চলে যায় তারা। সহকারী জেলার নেইল ওয়ারজরি ও ওয়ার্ডার সরাই সিংহ থাবাকে ঘর থেকে টেনে দরজার কাছে এনে গুলি করা হয়। নেইল ঘটনাস্থলেই মারা যান। থাবাকে তুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে তিনিও মারা যান।
কারা অধিকর্তা প্রেম সিংহ জানান, উইলিয়ামনগর কারাগারে অন্তত ১৫ জন জিএনএলএ সদস্য বন্দি রয়েছে। জঙ্গিরা জেল ভাঙার চেষ্টা করেনি। অন্য কাউকে আক্রমণ করেনি। কেবল দুইজনকে গুলি করে তারা চলে যায়। কারাগারের কোনও রক্ষী বা পোস্টে থাকা পাহারাদারদের কেউ জঙ্গিদের তাগ্ করে গুলি ছোড়েনি। কী ভাবে বিনা বাধায় জেলে ঢুকে দুই কর্তাকে মেরে গেল জঙ্গিরা, তা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিজি কুলবীর কিষণ বলেন, “সোয়াট ও কোবরা কম্যান্ডোরা খোঁজে
তল্লাশি চালাচ্ছে। আশা করি শীঘ্রই জঙ্গিরা ধরা পড়বে।”
২৩ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে ভোট। কারাবন্দি জিএনএলএ চেয়ারম্যান চ্যাম্পিয়ন সাংমা ভোটে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে, নিরাপত্তার খাতিরে আগাম গ্রেফতারি আইন প্রয়োগ করে চ্যাম্পিয়নের জেলে থাকা নিশ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। পুলিশের একাংশ মনে করছে, এ কারণেই চ্যাম্পিয়নের সমর্থকেরা প্রতিশোধ নিতে জেলে হানা দিয়ে থাকতে পারে। উইলিয়ামনগরে প্রায় সব ক’টি বুথই ‘অতি সংবেদনশীল’ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। শুক্রবারই পূর্ব গারো পাহাড়ের জন্য ১০ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করা হয়। তারপরেও কারাগারে বুক ফুলিয়ে হানা দিয়ে জিএনএলএ জঙ্গিরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল প্রশাসন ঘোষিত তথাকথিত ‘কড়া নিরাপত্তা’ কতটাই ঠুনকো। |
|
|
|
|
|