|
|
|
|
ঢাকার সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি, দিল্লি আশাবাদী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আগামী বাজেট অধিবেশনেই বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে সংবিধান সংশোধনীটি সংসদে পাশ করানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। গত কাল বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করছি আসন্ন সংসদীয় অধিবেশনেই আমরা স্থলসীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনটি সেরে ফেলতে পারব।” এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে দু’দেশের সীমান্ত-বিবাদ যেমন মিটে যাবে, তেমনই ছিটমহলগুলি দুই দেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় প্রায় ৫২ হাজার মানুষ নাগরিক পরিচিতি পাবেন।
দীর্ঘদিন বকেয়া পড়ে থাকা স্থলসীমান্ত চুক্তিটি রূপায়ণের বিষয়ে দেশে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়তে সক্রিয় কেন্দ্র। গত দু’মাস ধরে বিজেপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা চালাচ্ছেন বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা। উদ্দেশ্য, তিস্তা চুক্তি যখন বিশ বাঁও জলে, তখন অন্তত সীমান্ত চুক্তি রূপায়ণের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অক্সিজেন জোগানো। সমস্যা হল, বাংলাদেশের সঙ্গে এই চুক্তি করতে গেলে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। এ জন্য চাই সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এখনও পর্যন্ত খোলাখুলি এই বিষয়ে সরকারকে সমর্থন করেনি।
খুরশিদ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাটি ঝুলে রয়েছে। আমাদের দুই বন্ধু দেশের কর্তব্য নিজেদের মধ্যে এর মীমাংসা করে নেওয়া। দু’দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানো গেলে এর থেকেও জটিল বিষয় আমরা অনায়াসে সমাধান করে ফেলতে পারি।”
মার্চের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা সফরে যাবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর এ’টি তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক সফর তো বটেই, দ্বিপাক্ষিক কূটনীতির প্রশ্নেও এই সফরের গুরুত্ব অনেক। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ওঠাপড়ার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত ছিলেন প্রণববাবু। তিনি ঢাকা যাওয়ার আগে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে একটা বড় ধরনের সদর্থক বার্তা দিতে চাইছে নয়াদিল্লি। সে কারণেই স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। |
|
|
|
|
|