|
|
|
|
বসুন্ধরাকে সংগঠনের ভার রাজস্থানে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সঙ্ঘের স্থানীয় নেতাদের আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে বসুন্ধরা রাজেকেই রাজস্থান বিজেপির সভাপতি করতে সম্মত হলেন মোহন ভাগবত।
চলতি বছরের শেষেই মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, দিল্লির সঙ্গে রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। এই রাজ্য ফের বিজেপির দখলে আনা ও পরের লোকসভায় অনেক বেশি আসন জেতাই সঙ্ঘ-বিজেপির লক্ষ্য। সে কাজে বসুন্ধরাই বিজেপির একমাত্র মুখ। কিন্তু রাজ্যে সংগঠনের পুরো নিয়ন্ত্রণও নিজের হাতে চাইছিলেন বসুন্ধরা। স্থানীয় সঙ্ঘ নেতৃত্ব তাতে নারাজ ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই তিন বছর আগে সঙ্ঘের মনোনীত সভাপতি অরুণ চতুর্বেদীকে সরিয়ে বসুন্ধরাকে সেই পদ দেওয়া হল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হলেন একদা বসুন্ধরার প্রতিপক্ষ গুলাবচাঁদ কাটারিয়া। নিতিন গডকড়ী সভাপতি থাকার সময়েই বসুন্ধরাকে সভাপতি পদ দেওয়ার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল। রাজনাথ সিংহ সভাপতি হওয়ায় বসুন্ধরার মনে এই পদ পাওয়া নিয়ে কিছুটা আশঙ্কা তৈরি হয়। বসুন্ধরা এ জন্য নরেন্দ্র মোদীর কাছে গিয়েও দরবার করেছিলেন। কিন্তু রাজ্য জয়ের লক্ষ্যে বাস্তব পরিস্থিতি মোহন ভাগবত মেনে নেওয়ায় রাজনাথও তাঁর নতুন মেয়াদের প্রথম বড় সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেললেন। এর আগে রাজনাথ যখন সভাপতি ছিলেন, সেই সময় বসুন্ধরার সঙ্গে তাঁর তিক্ততা তৈরি হয়। আগের মেয়াদকালে রাজনাথ বসুন্ধরা-সঙ্কট মেটাতে পারেননি। কিন্তু ঘনিষ্ঠ মহলে রাজনাথ জানিয়েছেন, অতীতের কোনও ভুল আর তিনি করবেন না। সকলের সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক বজায় রাখবেন। সঙ্ঘ নেতৃত্বের যখন সায় রয়েছে, বসুন্ধরার ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে আগের তিক্ততা ভুলে তিনি দ্রুত এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
সঙ্ঘ ও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, রাজ্য নেতাদের হাতে ক্ষমতা চলে গেলে তাঁরা সঙ্ঘ ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অবজ্ঞা করতে থাকেন। খোদ বসুন্ধরার ক্ষেত্রেই অতীতে সেই সমস্যা হয়েছে। হয়েছে ইয়েদুরাপ্পার ক্ষেত্রেও। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হলেও তেমন ঘটার আশঙ্কা করছেন সঙ্ঘ নেতৃত্বের একাংশ। কিন্তু ক্ষমতা দখলের জন্য এই আঞ্চলিক নেতাদের প্রভাবও যে অস্বীকার করা যায় না, সেটিও অনুধাবন করছেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব। |
|
|
|
|
|