কুম্ভে রেলের পরিষেবা খতিয়ে দেখলেন অধীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সামনেই লোকসভা ভোট। শাসক-বিরোধী সব দলের নেতারাই এখন তাই কুম্ভের সঙ্গমে ডুব দিয়ে ভোটের কড়ি সংগ্রহে ব্যস্ত। ইলাহাবাদের নদীতীরে তাই শুধু বিজেপি বা সঙ্ঘ পরিবারই নয়, চলতি সপ্তাহেই হাজির হচ্ছেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধীও। আর ঠিক তার আগে আজ উত্তরপ্রদেশে রেলের অনুষ্ঠানের মধ্যেই ইলাহাবাদ গিয়ে কুম্ভ মেলায় রেলের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা দেখে এলেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। ইলাহাবাদ স্টেশনের পরিকাঠামো ঘুরে দেখার পাশাপাশি খাবারের মান যাচাই করতে রেলের ক্যান্টিনে যাত্রীদের সঙ্গে বসে খাবারও খান অধীর।
প্রায় দেড় দশক পরে রেল মন্ত্রক হাতে এসেছে কংগ্রেসের। দফতরের তিন মন্ত্রীই কংগ্রেসের। তাই কুম্ভে আগত যাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিল কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে তাই কুম্ভ শুরু হওয়ার আগেই কড়া নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল রেল মন্ত্রককে।
|
পরিদর্শনে
|
ইলাহাবাদ স্টেশনে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র |
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শাহি স্নানে প্রায় তিন কোটি লোক হবে বলে মনে করছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। আসার কথা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার। আলাদা আলাদা দিনে যাবেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধীও। এর মধ্যে রাহুলের ট্রেনে করে ইলাহাবাদ যাওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না রেল মন্ত্রক। তাই উত্তরপ্রদেশে রেলের একটি প্রকল্প উদ্বোধন করার পাশাপাশি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কুম্ভের ব্যবস্থাপনা দেখে এলেন অধীর। ব্যবস্থাপনায় যাতে কোনও খামতি না থাকে, তার জন্য আজ রেল কর্তাদেরও বিশেষ নির্দেশ দেন অধীর চৌধুরী।
পরে রেল প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কুম্ভ মেলায় যাত্রীদের পৌঁছনোর অন্যতম ভরসা রেল। আমরা এ জন্য ৭৫০ জোড়া ট্রেন চালাচ্ছি। কুম্ভমুখী সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনে সর্বাধিক ২৪টি কামরা লাগানো হয়েছে, যাতে আসন সংরক্ষণে যাত্রীদের সমস্যায় না পড়তে হয়। ওই স্টেশনে খাবারের মানের সঙ্গে যাতে কোনও সমঝোতা না করা হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছি।” দুপুরে ইলাহাবাদ স্টেশনের পরে রাতে আর এক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন মোগলসরাইয়ের যাত্রী পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন অধীর। |
|