|
|
|
|
ধর্ষণ-অর্ডিন্যান্সে সিলমোহর রাষ্ট্রপতির |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
নারী অধিকার সংগঠন ও বামেদের বিরোধিতা সত্ত্বেও কেন্দ্রের ধর্ষণ আইন সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সে সিলমোহর দিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
দিল্লি গণধর্ষণের পরে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব হয় সারা দেশ। আইনে সংশোধন নিয়ে সুপারিশের জন্য গঠিত হয় জে এস বর্মা কমিটি। তবে মৃত্যুদণ্ডের সুপারিশ করেনি তারা। এক ধাপ এগিয়ে নৃশংসতম ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থাও অর্ডিন্যান্সে রেখেছে ইউপিএ সরকার। কিন্তু কমিটির বেশ কয়েকটি সুপারিশ অর্ডিন্যান্সে স্থানও পায়নি।
নারী অধিকার কর্মীদের বক্তব্য, বেছে বেছে কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করতে গিয়ে সার্বিক ভাবে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সমস্যা সমাধানের বিষয়টি অগ্রাহ্য করেছে কেন্দ্র। বাজেট অধিবেশনের সপ্তাহ তিনেক আগে এই অর্ডিন্যান্স জারির প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম।
ছ’মাসের মধ্যে এই অর্ডিন্যান্স সংসদে পাশ করাতে হবে সরকারকে। তখন কেন অগণতান্ত্রিক ভাবে এই অর্ডিন্যান্স পাশ করানো হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেই বাম দলগুলি। সংসদে বিতর্কের সময়ে প্রস্তাবিত আইনে আরও পরিবর্তন হতে
পারে বলে মেনে নিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসাররাই।
তবে এখন এই ‘ঐতিহাসিক’ অর্ডিন্যান্স নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহী কেন্দ্র। আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমারের বক্তব্য, “আমাদের আশা, প্রগতিশীল ও উপযুক্ত আইনই দেশকে উপহার দিতে পারব আমরা।” তাঁর মতে, আইন সংশোধন নিয়ে যথেষ্ট দ্রুত এগিয়েছে কেন্দ্র। তবে কেন্দ্র আইন সংশোধন নিয়ে দ্রুত এগোলেও ধর্ষণের মামলার বিচারের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার চিত্র ফের তুলে ধরেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো। ব্যুরোর হিসেব অনুযায়ী, ২০০৯-১১ সালে সারা দেশে প্রায় ৬৮ হাজার ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়লেও এখনও মাত্র ১৬ হাজার অভিযুক্ত বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। ২০১১ সালে সারা দেশে মোট ২৪,২০৬টি ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়েছিল। ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ৫,৭২৪ জন। ২০১০ সালে সারা দেশে জমা পড়া ২২,২৭২টি অভিযোগ হয়েছে। ওই বছরে এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ৫,৬৩২ জন। তার আগের বছরে ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়েছিল সারা দেশে ২১,৩৯৭টি।
পরিসংখ্যান বলছে, এই তিন বছরে সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়েছে মধ্যপ্রদেশে। মোট ৯,৫৩৯টি। তার পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যভিত্তিক এই পরিসংখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, পুলিশি তদন্তে গাফিলতির জন্যই অনেক ক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ জোগাড় হয় না। তাই মামলার অনুপাতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার অনুপাত এতটাই কম। |
|
|
|
|
|