পর্যটনের প্রসারে যথাযথ উদ্যোগ নিতে ডুয়ার্স উৎসব ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি বিভিন্ন পর্যটন সংস্থাগুলির। তাদের অভিযোগ, পর্যটন ব্যবসার ওপরেই ডুয়ার্সের অথর্নীতি বহুলাংশে নির্ভরশীল হলেও ডুয়ার্স উৎসবে ব্রাত্য থেকে গিয়েছে পযর্টনই। উৎসবে পর্যটনের স্থান হয়েছে নামমাত্র। একটি মাত্র স্টল তৈরি করেই উৎসব কর্তৃপক্ষ পর্যটন প্রসারে নিজেদের দায় সেরেছেন বলে মনে করছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন রিসর্ট মালিকদের সংগঠন। আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে চলতে থাকা নবম ডুয়ার্স উসবের মূল বাজেট প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বেশি হলেও পর্যটনের প্রসারের জন্য মাত্র ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করায় পর্যটন নিয়ে উৎসব কমিটির আন্তরিকতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
পর্যটনের বিকাশে উদ্যোগের অভাবের অভিযোগের শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক তথা ডুয়ার্স উৎসব কমিটির সভাপতি অমলকান্তি রায়। তিনি বলেন, “ডুয়ার্সের বিভিন্ন পর্যটন সংস্থাগুলিকে নিয়ে উৎসব প্রাঙ্গনে কিভাবে ডুয়ার্সে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা যায় তা নিয়ে আলোচনা সভা করা উচিত ছিল। পযর্টনের প্রসারের জন্য একটি উপসমিতি করা হয়েছে। কিন্তু আদতে কি হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখব।” উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” উৎসব কমিটির পর্যটন বিভাগের আহ্বায়ক মানব বক্সি বলেন “মাত্র কয়েক দিন কয়েক আগে পর্যটন বিভাগের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গনে কমিটির তরফে পর্যটনের স্টল করার জন্য মাত্র ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। ষ্টল তৈরী করতেই প্রায় ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।” উৎসবের তৃতীয় দিনেও ডুয়ার্সের পর্যটন নিয়ে স্টলে প্রচারের কোনও লিফলেটও ছিল না বলে অভিযোগ।
লাটাগুড়ির পর্যটন ব্যবসায়ী তথা আলিপুরদুয়ার ট্র্যাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি বিপ্লব দে বলেন, “ডুয়ার্স উৎসবে পর্যটন ও লোক সংস্কৃতি তুলে ধরার গাল ভরা কথা বলা হলে আদতে কিছুই করা হচ্ছে না। উৎসব কমিটির তরফে ডুয়ার্সের পর্যটনের দিকগুলি ভিন রাজ্যের পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে ধরার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।” বেসরকারি রিসর্ট থেকে শুরু করে পর্যটন গাইডদের তরফেও উৎসবে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। ডুয়ার্সের চিলাপাতার বেসরকারি লজের মালিক গনেশ শা বলেন, “পর্যটনের বিকাশ নিয়ে আমাদের কোনোবার ডাকা হয় না।” জয়ন্তী টুরিস্ট গাইড ইউনিয়নের সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্য বলেন, “ডুয়ার্স উৎসব এখন আলিপুরদুয়ার শহরের একটি বার্ষিক মেলা। ডুয়ার্সের পর্যটনের বিকাশের জন্য উৎসব কমিটি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। জয়ন্তীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা গন্তব্যর বিষয় তুলে ধরার জন্য আমাদের ডাকা হয় না।” |