দলীয় কর্মীসভায় এসে উপ-নির্বাচনের প্রচার সেরে নিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। রবিবার নলহাটির বিধুপাড়া হাইমাদ্রাসা মাঠের ওই সভায় দলীয় নেতাদের উদ্বুদ্ধ করে একহাত নিলেন তৃণমূল সরকারকেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়েই বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বাজিগর, জাদুকর। রাজ্যের ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যেই তিনি বলেছিলেন ‘পাহাড় হাসছে’, ‘জঙ্গলমহলে দেড় লক্ষ বেকারকে চাকরি দিয়েছি’। কিন্তু সরকারের এক বছর পর তিনিই বলছেন এক লক্ষ বেকারকে চাকরি দিয়েছি। মাঝের ৫০ হাজার জনের তা হলে কী হল?”
বীরভূমে কংগ্রেস শক্তিশালী বলে দাবি করে তিনি বলেন, “সামনে আমাদের দু’ ধরনের লড়াই লড়তে হবে। এই উপ-নির্বাচন কংগ্রেসের কাছে সম্মানের লড়াই, আবার প্রতিষ্ঠারও। এক দিকে তৃণমূল বলছে কংগ্রেসকে শেষ করে দেবে। দলটাকে সাইনবোর্ড করে দেব। আমি বলছি, আপনারা ভোটের লড়াইয়েই এই অপমানের জবাব দিন।” |
আগের বিধায়ক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “রাজ্যে সরকার বদলালেও কোনও পরিবর্তন আসেনি। উন্নয়নই হয়নি। অথচ অভিজিৎবাবু নিজের উদ্যোগে অনেক কাজ করেছেন। এলাকায় সেই কাজের প্রচার করতে হবে।”
কমীসভায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে রাজ্য সরকারের অভিযোগকেও কার্যত খারিজ করেছেন দীপা। তিনি বলেন, “মমতা বলেছেন ১০০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। তা হলে বারবার ‘টাকা নেই, টাকা নেই’ বলে কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইছেন কেন?” এর পরেই তাঁর দাবি, “অন্য রাজ্য সরকারকে যেমন দিচ্ছে, তেমনই পশ্চিমবঙ্গের জন্যও কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে টাকা দিচ্ছে। আসলে টাকাগুলো ঠিকই খরচ হচ্ছে, কিন্তু অন্য খাতে।” তাঁর সংযোজন, “কেন্দ্রের টাকা খরচ করে মুখ্যমন্ত্রী বিচিত্রানুষ্ঠান করছেন, উৎসব করছেন।” এ দিনের সভায় ছিলেন জঙ্গিপুরের সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ঘোষ, ফরাক্কার বিধায়ক মাইনুল হক, জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, হাসনের বিধায়ক অসিত মাল প্রমুখ নেতা। এ দিন সিপিএম, তৃণমূল ছেড়ে বেশ কিছু কর্মী কংগ্রেসে যোগ দেন। |