পুলিশ সেজে পরপর মহিলাদের গয়না হাতানোর ঘটনা ঘটল আসানসোল ও দুর্গাপুরে। শনিবার আসানসোলে দক্ষিণ চেলিডাঙা ও রবিবার দুর্গাপুরে বেনাচিতিতে একই রকম ঘটনার পরে পুলিশের অনুমান, শিল্পাঞ্চলে একটি চক্র সক্রিয় হয়েছে। পুলিশের আশ্বাস, শীঘ্রই অপরাধীদের ধরে ফেলা হবে।
আসানসোল দক্ষিণ থানার আপার চেলিডাঙার বাসিন্দা চিন্তাদেবী তিওয়ারি অভিযোগ করেন, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি দোকানে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ দুই মোটরবাইক আরোহী এসে নিজেদের পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয়। তারা জানায়, সোনার গয়না পরে রাস্তায় হাঁটা যাবে না। তা শুনে তিনি গলার হার, হাতের বালা খুলে কাগজে মুড়তে শুরু করেন। তখনই ওই দুষ্কৃতীরা গয়নাগুলি ছোঁ মেরে নিয়ে পালায় বলে চিন্তাদেবীর অভিযোগ।
|
বুলবুল ঘোষ।
—নিজস্ব চিত্র। |
রবিবার প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটে দুর্গাপুরে। বেনাচিতির গুরুদ্বার রোডের বুলবুল ঘোষ জানান, সকালে তিনি মুদির দোকানে যাওয়ার জন্য বেরোন। রাস্তায় পুলিশের পোশাকে দু’জন তাঁর সামনে হাজির হয়। তারা জানায়, সম্প্রতি বেনাচিতির একটি বেসরকারি সংস্থায় লুঠপাট হয়েছে। তাই রাস্তায় গয়না পরে বেরোনো মহিলাদের তারা সতর্ক করছে। বুলবুলদেবীর অভিযোগ, যুবকেরা গয়না খুলে তাদের হাতে থাকা কাগজে দিতে বলে। প্রথমে দ্বিধা করলেও পরে তিনি গয়না খুলে দিলে তারা তা কাগজে মুড়ে ফেরত দেয়। সন্দেহ হওয়ায় কাগজ খুলে দেখেন, সেগুলি নকল। তাঁর চিৎকারে ওই যুবকেরা মোটরবাইক নিয়ে চম্পট দেয়। বুলবুলদেবী বলেন, “দ্বিধা দেখে ওই যুবকেরা আমার সামনেই এক মহিলাকে গয়না খুলিয়ে কাগজে মুড়ে ফেরত দেয়। আমি নকল গয়না পেয়ে চেঁচামেচি জুড়লে সেই মহিলাও চম্পট দেন।” ছেলে অভিজিৎবাবুকে সঙ্গে নিয়ে এ-জোন ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে যান বুলবুলদেবী। অভিজিৎবাবুর অভিযোগ, ফাঁড়ি অনেক ক্ষণ বসিয়ে রেখে তাঁদের দুর্গাপুর থানায় পাঠায়। সেখানেও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে অভিযোগ নেওয়া হয়। পুলিশ অভিযোগ নিতে দেরির কথা মানতে চায়নি। আসানসোল-দুর্গাপুরে কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। |