|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা
|
আন্ডারপাস |
সহজে ভিআইপি |
কৌশিক ঘোষ |
অবশেষে কাটল জট। শুরু হল বিধাননগর স্টেশনের পাশে আন্ডারপাসের কাজ। পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, কাজ শেষ হলে কলকাতা স্টেশন থেকে সরাসরি ভিআইপি রোডে যাওয়া যাবে।
এখন কলকাতা স্টেশন থেকে উল্টোডাঙার মোড় হয়ে ভিআইপি রোডে যেতে হয়। বিধাননগর স্টেশনের কাছে রেললাইনের তলায় এই আন্ডারপাসটি তৈরি হলে ক্যানাল সার্কুলার রোড হয়ে ভিআইপি রোডে চলে যাওয়া যাবে। কিন্তু, পুনর্বাসনের জটে কাজ আটকে ছিল।
কলকাতা পুরসভার তৎকালীন রাস্তা ও ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, “যাত্রীদের সুবিধার জন্য এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু বাসিন্দার আপত্তিতে কাজ করা যাচ্ছিল না। বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়ার পরেই কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি মাস তিনেকের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। উল্টোডাঙা মোড়ের যানজট এড়াতে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া কলকাতা স্টেশন থেকে আন্ডারপাস পর্যন্ত রাস্তাটিরও সংস্কার হবে।”
প্রকল্পটি কী? |
|
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বামফ্রন্ট আমলেই রেললাইনের তলায় আন্ডারপাস তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কলকাতা স্টেশন হয়ে খাল ধার বরাবর ক্যানাল সার্কুলার রোড ধরে ভিআইপি রোডে যেতে গেলে মূল সমস্যা বিধাননগর স্টেশনের কাছে রেললাইন। রেললাইন অতিক্রম করতে ২৫০ মিটার দীর্ঘ এই আন্ডারপাসটি তৈরি হবে। আন্ডারপাসের দু’দিকে ফুটপাথ থাকবে। গাড়ি ছাড়াও পথচারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। এই প্রকল্পের জন্য পুরসভা বরাদ্দ করেছে ২৩ কোটি টাকা। এ ছাড়াও কলকাতা স্টেশন থেকে বিধাননগর স্টেশন পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার করা হবে বলেও পুরকর্তৃপক্ষ জানান।
কেন কাজ আটকে ছিল?
পুরসভা সূত্রে খবর, বামবোর্ড এই প্রকল্পের জন্য রেললাইনের পাশের কিছু বাসিন্দাকে সরে যেতে বলে। কিন্তু তাঁরা জায়গা ছাড়তে চাননি। পুনর্বাসনের দাবিও ওঠে। তখন পুনর্বাসন দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় কাজ
আটকে যায়। |
|
নতুন বোর্ড ক্ষমতায় আসার পরে ফের এই প্রকল্প রূপায়ণে সচেষ্ট হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর, বরো চেয়ারম্যান এবং বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার পরে স্থির হয় পুরসভাই খালধারে ওই সব বাসিন্দার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেবে। ইতিমধ্যেই ২৬টি পরিবারকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকিদের জন্যও খালধারে বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলর বিরতি দত্ত বলেন, “পুনর্বাসনের জন্য কাজ আটকে ছিল। এখন কোনও সমস্যা নেই। ২৬টি পরিবারের জন্য ইতিমধ্যেই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি ১৪টি পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য ঘর তৈরি হচ্ছে।” পুরসভার ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সিপিএমের রাজীব বিশ্বাস বলেন, “কাজ শেষ হলে যাত্রীরা সুবিধা পাবেন। কিন্তু এর সঙ্গে ক্যানাল সার্কুলার রোডের সংস্কারও জরুরি। কারণ, আন্ডারপাস তৈরি হলে এই রাস্তায় যান চলাচল বাড়বে। তখন যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্ক করা যাবে না। রাস্তার সংস্কারের জন্য পুরকর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি।”
|
ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী |
|
|
|
|
|