ঋণের দায় মেটাতে হলদিয়া পেট্রোকেমের শেয়ার দেওয়ার দাবি মেনে নিতে রাজি রাজ্য সরকার। কিন্তু এর জন্য ৮ মাস সময় চেয়েছে তারা।
অন্য দিকে পাল্টা চালে অন্যতম প্রধান অংশীদার চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর কর্তা পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় সংস্থায় ৫০০ কোটি টাকা ঢালার প্রস্তাব আগেই দিয়েছেন। কিন্তু তার বদলে সংস্থা পরিচালনার অধিকার দাবি করেছেন।
আগামী ৩০ জুনের মধ্যে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস-এর মালিকানা ছেড়ে বেরিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। তারা এই সময়ের মধ্যে সংস্থা চাঙ্গা করে তুলতে ব্যাঙ্কের কাছে ১০০০ কোটি টাকা নতুন করে চেয়েছে। এবং ঋণ ফেরত দিতে না-পারলে ৮ মাস পরে সংস্থার শেয়ার দিতে রাজি সংস্থার অন্যতম মালিক পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শুক্রবার সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বৈঠক শেষে এ কথা জানান শিল্পমন্ত্রী তথা সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সংস্থার মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা। |
এ দিন রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম দফতরে তিন ঘণ্টার উপরে চলে পর্ষদের বৈঠক। পার্থবাবু ছাড়াও ছিলেন পূর্ণেন্দুবাবু, ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি, শিল্প সচিব চঞ্চলমল বাচাওয়াত এবং রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ গুপ্ত। বৈঠক শেষে পূর্ণেন্দুবাবু জানান, সংস্থা চাঙ্গা করতে সব শরিকই আগ্রহী। ক্ষতির অঙ্ক কমাতে একটি বিশেষ কমিটিও হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
পেট্রোকেমের শেয়ার বিক্রির পথে আগেই এক ধাপ এগিয়েছিল রাজ্য। এই প্রক্রিয়া দেখাশোনা করতে পরামর্শদাতা সংস্থা ডেলয়েটকে নিয়োগ করেছে তারা। এ দিন পার্থবাবু জানান নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ হবে। এ দিন এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন পূর্ণেন্দুবাবুও। তাঁর মতে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট স্বচ্ছ। পার্থবাবু বলেন, “সংস্থা ভাল চললে ভাল দাম উঠবে। সেই সূত্রেই নতুন ঋণের জন্য আর্জি জানিয়েছি। এবং ঋণ ফেরত না-দিতে পারলে সংস্থার শেয়ার দেওয়ার কথাও জানিয়েছি এ দিনের বৈঠকে।” ৩০ জুনের মধ্যেই রাজ্য সরকার তার শেয়ার বিক্রি করতে বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ঋণ দেওয়ার শর্ত হিসেবে বরাবর ব্যাঙ্কগুলি চেয়েছে সংস্থায় নতুন করে লগ্নি করুক সংস্থার দুই মালিক। পার্থবাবু জানিয়েছেন চ্যাটার্জি গোষ্ঠী লগ্নি করলে রাজ্য সরকারও চেষ্টা করবে টাকা ঢালতে। |