টুকরো খবর
তৃণমূল নেতার গাড়িতে জখম
তৃণমূল ব্লক সভাপতির গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের এক অস্থায়ী কর্মী। জার্মান শেখ নামে জখম ওই কর্মীকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সভাপতি। স্থানীয় বাসিন্দারা মোটরবাইক নিয়ে ধাওয়া করে মাড়গ্রাম থানার ভল্লা ক্যানাল মোড়ের কাছে গাড়িটি ধরে ফেলেন। ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িতে। পুলিশ গিয়ে সিউড়ি ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করে আনে। শুক্রবার সকালে রামপুরহাট থানার বিনোদপুর গ্রামের কাছে, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ দিন নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে যাচ্ছিলেন নুরুল ইসলাম। দুর্ঘটনার পরে বাসিন্দারা ওই প্রৌঢ়কে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। এ প্রসঙ্গে নুরুল ইসলাম বলেন, “জাতীয় সড়কে থাকা গর্ত বাঁচাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। চালক কিছু দূরে গিয়ে গাড়ি থামিয়ে পালিয়ে যায়।”

হেনস্থার প্রতিবাদে তালা দিলেন প্রধান
তাঁদের হেনস্থা ও মারধরের বিষয়ে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তার প্রতিবাদে শুক্রবার পঞ্চায়েতের তালা খুলতে দিলেন না প্রধান বাবর আলি। ফলে এ দিন কাজ তো হয়নি, কর্মীরা এসে ঘুরে যান। কাজের দাবিতে বৃহস্পতিবার তৃণমূল পরিচালিত নলহাটি থানার কুরুমগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাবর আলিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তেজহাটি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশ গিয়ে আলোচনা করেও পঞ্চায়েত ভবন খুলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত দু’দিন বিনা কাজে ১৩৬ টাকা করে মজুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। প্রধানকে হেনস্থা ও অন্য কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। প্রধানের দাবি, “ওই দিন এত বড় একটা কাণ্ড ঘটল, অথচ প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যয়নি। ঘটনার দিনই বিডিওকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল। তার পরে কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে বিডিও ব্যবস্থা নেননি।” এ দিকে, পঞ্চায়েত কর্মীরা বলেন, “আমরা নির্ধারিত সময়ে কাজ করতে এসেছিলাম। কিন্তু প্রধান নিজে তালা খুলতে না দেওয়ায় আমরা ঢুকতে পারিনি।” রামপুরহাট মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “তা কী করে হয়। অফিস কেউ বন্ধ রাখতে পারেন না। লিখিত ভাবে প্রধান তাঁর বক্তব্য আমাদের জানাতে পারতেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” যদিও নলহাটি ১ ব্লকের বিডিও তাপস বিশ্বাসের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

ছেলেধরা সন্দেহে আটক
ছেলেধরা সন্দেহে এক ব্যক্তিকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল এলাকাবাসী। শুক্রবার দুপুরে রামপুরহাট থানার বাধা গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামের বছর তিনেকের এক শিশু গ্রামের অজ্ঞানওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশে মাঠে খেলা করছিল। ওই সময় এক মাঝবয়সী ব্যক্তি শিশুটিকে নিয়ে পালাচ্ছিলেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এলাকাবাসী ঘটনার কথা জানতে পেরে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম জাতীয় সড়কের ধারে বাধা মোড়ে একটি হোটেলের পাশে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। ওই ব্যক্তিকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁর অসংলগ্ন কথাবার্তায় এলাকাবাসীর আরও সন্দেহ বাড়ে। তাঁরা ওই ব্যক্তিকে গাছের বেঁধে মারধর করেন বলেও জানা গিয়েছে। পরে পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

চোলাই উদ্ধার
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুরারই থানার ডুরিয়া গ্রামে আবগারি দফতর ও জেলা পুলিশ শুক্রবার যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে ২৪০ লিটার চোলাই উদ্ধার করেছে। উত্তম সাহা নামে চোলাই মদ তৈরির ব্যবসায়ী গ্রেফতারও হয়েছে।

অপমৃত্যু
গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক যুবতী। মৃতার নাম সুমনা বেজ (২৩)। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট থানার শ্রীফলা এলাকায়। মানসিক কারণে আত্মঘাতী বলে অনুমান পুলিশের।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.