লকআপে অসুস্থ কৌসর, চিকিৎসার নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
রায়নার ধৃত সিপিএম নেতা কৌসর আলির চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দিল আদালত। বাড়িতে স্টেনগান রাখায় অভিযুক্ত ওই নেতাকে শুক্রবার পুলিশ বর্ধমান আদালতে নিয়ে গেলে লক-আপে বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। তাঁর আইনজীবীরা এ ব্যাপারে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিজেএম সেলিম আহমেদ আনসারি জেলা সংশোধনাগারের সুপারকে চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেন।
ধৃতের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কৌসর রায়না থানার হেফাজতে রয়েছেন। মানবাধিকার রক্ষা কমিশনের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে থাকা অভিযুক্তের প্রতি দিনই ডাক্তারি পরীক্ষা হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু গত ২৯ জানুয়ারি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইসিজি করানোর জন্য রেফার করলেও পুলিশ নিয়ে যায়নি।” রায়না থানার পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ মানেনি। ওসি রাকেশ সিংহের দাবি, “আমাদের হেফাজতে থাকাকলীন সাত দিনই ধৃতের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে। তিনি কোনও অসুবিধা অনুভব করেননি। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কোনও গাফিলতি নেই।” |
|
বর্ধমান আদালতে কৌসর আলি। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন দুই আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রবীন মণ্ডলের নেতৃত্বে ২২ জন আইনজীবী কৌসরের জামিনের আবেদন জানান। আদালত অবশ্য চিকিৎসার রিপোর্ট-সহ আজ, শনিবার কৌসরকে ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে। এ দিনই তাঁর বিরুদ্ধে মাধবডিহিতে দু’জনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগের শুনানি হবে।
যে তৃণমূল নেতাকে কৌসর অস্ত্র সরবরাহ করতেন বলে পুলিশের দাবি, সেই নিয়ামুল হক মণ্ডলকেও এ দিন আদালতে তোলে পুলিশ। তবে তাঁকে নতুন করে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায়নি পুলিশ। শনিবার তাঁকে ফের আদালতে তোলা হবে। তাঁর আইনজীবী সদন তা জানান, নিয়ামুলের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্র নিয়ে খুনের চেষ্টার তিনটি মামলা ছিল। তার মধ্যে দু’টিতে তিনি আগেই জামিন পেয়েছেন। সদনবাবু বলেন, “নিয়ামুলের বিরুদ্ধে আরও আগে রায়না থানায় পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে সেগুলিতে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কোনও আবেদন আদালতে করেনি। তাই শনিবার এই মামলাগুলিতে তাঁর জামিন চাওয়া হবে।” |
|