উত্তরবঙ্গ উৎসবের অনুষ্ঠান থেকে ধৃত ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি রাহুল রায়-সহ সাত জনের হয়ে আদালতে ৩২ আইনজীবী দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি বিশ্বরূপ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের জেলা সম্পাদক প্রবীর রায়ের ছেলে শুভ্রপ্রকাশ রায়। গত বুধবার তাঁর অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে আদালতে অভিযুক্ত ছাত্রদের জামিনের আবেদন করেন। আইনজীবী বিশ্বরূপবাবু বলেন, “দার্জিলিঙে উত্তরবঙ্গ অনুষ্ঠানের সময় মোর্চা সমর্থকেরা বিশৃঙ্খলা করে। অভিযুক্ত মোর্চা নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা হয়নি। বালুরঘাটে ছাত্ররা অনুষ্ঠানের প্রাসঙ্গিকতা জানতে গিয়েছিলেন।” আর ছাত্র পরিষদ নেতাদের হয়ে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে বিশ্বরূপবাবু এবং শুভ্রপ্রকাশবাবু বলেন, “বিষয়টি পেশাগত। দল এ বিষয়ে ওই ছাত্রদের হয়ে মামলা লড়া যাবে না বলে কিছু জানায়নি।” ইতিমধ্যে ঘটনাটি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গে উৎসবে মন্ত্রীদের কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগে ওই সাতজনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। প্রত্যেকেই জেল হেফজাতে আছেন। বৃহস্পতিবার ঘটনার প্রতিবাদে জেলা কংগ্রেসের তরফে কয়েকটি ব্লকে মিছিল, সভা করা হয়েছে। গত বুধবার বালুরঘাটের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত ছাত্র নেতাদের ৮ দিনের জেল হেফাজত হয়। তৃণমূলের তরফেও পাল্টা ধিক্কার মিছিল করা হয়।
|
এক মুদি দোকান মালিককে অপহরণ করতে না পেরে গুলি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাতে কুমারগ্রামের চ্যাংমারি পঞ্চায়েতের ঘোড়ামোড় এলাকার ঘটনা। গুলিবিদ্ধ ওই ব্যবসায়ী কুমার নেওয়ার আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর বুকে এবং কপালে গুলি লেগেছে। তাঁর ছেলে কৃষ্ণকে লক্ষ করেও দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। কিন্তু গুলি লাগেনি। ঘটনার পিছনে নিছকই দুষ্কৃতী দল না কী কোনও সংগঠনের হাত রয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
|
বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাটের বেলতলাপার্ক এলাকায়। মৃতার নাম মৌমিতা কুণ্ডু (২২)। বুধবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন মৃতার বাবা পরেশ কুন্ডুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতার স্বামী অশোক কুন্ডুকে গ্রেফতার করে। পাঁচ বছর আগে গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা মৌমিতার সঙ্গে বালুরঘাটের ব্যবসায়ী অশোকবাবুর বিয়ে হয়। তাঁদের তিন বছরের মেয়ে রয়েছে।
|
২ ফেব্রুয়ারি থেকে হলদিবাড়ি বইমেলা শুরু হতে চলেছে। উত্তরবঙ্গ ও কলকাতার মোট ২৪টি প্রকাশনা সংস্থা মেলায় যোগ দেবে।
|
মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল মহম্মদ ইসলাম। স্ত্রী তখন বাধা দিলে মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে সে। ২০১১ -র ১০ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের হুসেনপুরের ওই ঘটনার পরে মহম্মদ ইসলামকে বিহার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় ইসলামপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক শুভাশিস ঘোষাল মহম্মদ ইসলামকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন। মহম্মদ ইসলাম পেশায় মাংস বিক্রেতা। আদালত সূত্রের খবর, মেয়ের উপর নিয়মিত নির্যাতন চালাত সে। তার স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান। সরকারি আইনজীবী ননীগোপাল বিশ্বাস বলেন, “এই জঘন্য অপরাধের জন্য আদালতের কাছে অভিযুক্তের ফাঁসির আবেদন করেছিলাম। রায়ে সুবিচার পেয়েছি। মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।” |