জিটিএ চুক্তিতে লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের কথা রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করার পরে তার প্রতিবাদ করেছে মোর্চা। তাঁদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বিনয় তামাং বলেন, “চুক্তির কোথাও ওইরকম বিষয় নেই।”
একই দাবি সিপিএমেরও। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের চুক্তি দেখিয়ে অভিযোগ করেন, “জিটিএতে এমন কিছু লেখা নেই। আর একটি স্বশাসিত সংস্থার অধীনে আর একটি পর্ষদ হয় কি না, জানি না। যদিও বা হয় তাহলে তা জিটিএকে করতে হবে, রাজ্য সরকারকে নয়। মুখ্যমন্ত্রী লেপচা সম্প্রদায় তো বটেই, সকলেই বিভ্রান্ত করছেন।” বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এ দিন বলেন, “শুধু তো লেপচা নয়। লেপচা, ভুটিয়া-সহ পাহাড়ের সব উপজাতি, মহিলাদের সংরক্ষণের দাবি আমরা বিধানসভায় তুলেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই দাবি মেনে নেওয়ার কথা বললেও আইনে তা স্থান পায়নি! লেপচাদের জন্য যে ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে, এই ভাবে চললে তো পাড়ায় পাড়ায় কাউন্সিল ঘোষণা করতে হবে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য!” কলকাতায় এসে সিপিআইয়ের প্রবীণ নেতা এ বি বর্ধনও এ দিন মন্তব্য করেন, “তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে পাহাড়ের আন্দোলনকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা হয়েছিল। তার পরে দাবি করা হল, পাহাড় হাসছে! এখন দেখা যাচ্ছে, পাহাড় আবার লাল চোখ এবং ক্রদ্ধ স্লোগানেই ফিরে গিয়েছে!”
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এই দিন দাবি করেন, জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। গণতান্ত্রিক আইনজীবী সঙ্ঘের জলপাইগুড়ি জেলার সহ সভাপতি সুজিত সরকার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী কী বোঝাতে চাইলেন? গত সেপ্টেম্বরে উনি যখন জলপাইগুড়ি এসে বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করলেন, তখন সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন ছিল না? সার্কিট বেঞ্চের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তি জারির প্রথা নেই, অনুমোদন করতে হয়।” প্রায় একই সুরে প্রদেশ কংগ্রেসের আইনজীবী সংঘের জেলার নেতা নির্মল ঘোষ দস্তিদার জানান, কোর্টের অনুমতি আগেই মিলেছে, এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রয়োজন। |