|
|
|
|
সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত মিহির এআইটিইউসিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বহিষ্কৃত সিপিএম নেতার আগেই ঠাঁই হয়েছিল সিপিআইয়ে। এ বার তাঁকে দলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য করা হল। বুধবার থেকে সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি’র ১৫তম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন শুরু হয়েছিল ঝাড়গ্রাম শহরে। শেষ হয় বৃহস্পতিবার। সম্মেলনে নতুন জেলা কমিটি, জেলা সম্পাদকমণ্ডলী গঠন হয়েছে। জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে জায়গা পেয়েছেন খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার নেতা মিহির পাহাড়ি। ‘দলবিরোধী কাজের’ অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করেছে সিপিএম।
এআইটিইউসি’র জেলা সভাপতি জ্যোতিলাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সর্বসম্মতিক্রমে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে মিহির পাহাড়ি রয়েছেন।” এলাকায় এক সময় একচ্ছত্র প্রভাব ছিল মিহিরবাবুর। তখন তিনি সিপিএমের খড়্গপুর গ্রামীণ জোনাল কমিটির সম্পাদক। সিটুর রাজ্য কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার সুবাদে শিল্পাঞ্চল দেখভালের দায়িত্বও ছিল তাঁর কাঁধে। বছর দুই আগে থেকে তাঁর সঙ্গে দীপক সরকারের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। তাঁকে জোনাল সম্পাদকের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে দলের জেলা কমিটির সদস্য পদে তাঁকে রাখা হয়েছিল। গত বছর অগস্টে অভিযোগ ওঠে, সিপিএমে থেকেও তিনি আরএসপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তদন্ত শুরু হয়। শিল্পাঞ্চলের নেতাকে শো-কজ করে দল। তদন্তের রিপোর্টেও তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপরই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে সিপিআইয়ে যোগ দিতে চেয়ে জেলা নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। নিজের পরিচিত মহলে মিহিরবাবুর বক্তব্য, “বামপন্থী রাজনীতি ছেড়ে থাকতে পারতাম না। তাই সিপিআইয়ে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করি।” এআইটিইউসি’র জেলা সম্পাদক এবং সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন প্রদীপ মৈত্র এবং জ্যোতিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সংখ্যা ১৫। জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা ৮৫। |
|
|
|
|
|