কেশপুরে ফের মিলল হাড়গোড়
ফের মাটি খুঁড়ে হাড়গোড় উদ্ধার হল কেশপুরে। এ বার রাজগ্রামে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে পুকুর খননের কাজ হচ্ছিল একশো দিনের কাজ প্রকল্পে। তখনই হাড়গোড় মেলে। খবর পেয়ে আসেন কেশপুরের বিডিও মহম্মদ জামিল আখতার। পৌঁছয় পুলিশও। তৃণমূলের দাবি, ২০০০ সাল থেকে নিখোঁজ দলীয় কর্মী সৌমশ্রী মণ্ডলের দেহাবশেষ এটি। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
রাজ্যে পালাবদলের পর এই জেলায় কঙ্কাল উদ্ধার হয়ে উঠেছিল রুটিন ঘটনা। প্রতিটি ক্ষেত্রে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে গুম-খুনের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল।

উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ। —নিজস্ব চিত্র।
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষেরও। দীর্ঘ দিন জেলও খেটেছেন তিনি। আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। গড়বেতার দাসেরবাঁধ ছাড়াও হাড়গোড় মিলেছে কেশপুর ব্লকের পাঁওশা, মোহনপুর, শালবনি ব্লকের ঝর্নাডাঙা, শালগেরিয়া, সাতেরবাঁধ, নারায়ণগড় ব্লকের মণিনাথপুরে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন রাজগ্রাম।
এ দিন সকালে ভরত মণ্ডলের বাড়ির পুকুর খোঁড়া চলছিল। দু’ফুট মাটি খুঁড়তেই হাড়গোড় বেরিয়ে পড়ে। পরে আশপাশের এলাকায় মাটি খুঁড়েও কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “সৌমশ্রী মণ্ডল নামে আমাদের এক কর্মী দীর্ঘদিন নিখোঁজ। সিপিএমের লোকজন তাঁকে গুমখুন করেছে। উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ তাঁর হতে পারে। আমরা তদন্ত দাবি করেছি।” একই দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি তপন চক্রবর্তী। ২০০০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন সৌমশ্রী। বাড়ি এলুনি গ্রামে। এই গ্রাম থেকে রাজগ্রামে ঘটনাস্থলের দূরত্ব প্রায় দু’কিলোমিটার। যদি দেহাবশেষ সৌমশ্রীরই হয়, তবে তা কী ভাবে সেখানে পৌঁছল, তদন্তে সে সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.