কাজ শেষ, কোলাঘাটে দ্বিতীয় সেতুর পরীক্ষা শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কোলাঘাটে রূপনারায়ণের উপরে দ্বিতীয় সেতুতে পরীক্ষামূলক ভাবে যান চলাচল শুরু হল বৃহস্পতিবার। ২০০৪ থেকে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পরে ২০১২ সালের গোড়ায় ফের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। সদ্য তা শেষ হয়েছে।
নতুন সেতুটির দৈর্ঘ্য ১১০০ মিটার। আপাতত কয়েক দিন ধরে পরীক্ষা চলবে। তা সফল হলে সেতুটি আনুষ্ঠানিক ভাবে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
২০০০ সালে ডানকুনি থেকে খড়্গপুর পর্যন্ত মুম্বই রোডকে চার লেনের রাস্তায় রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ওই সময়েই কোলাঘাটে রূপনারায়ণের উপরে পুরনো সেতুর পাশে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০০৪ সালে সেতু তৈরি সম্পূর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও টাকার অভাবে কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যায় ঠিকাদার সংস্থা। |
|
পরিকল্পনা অনুযায়ী, নতুন সেতুর নীচে ২২টি স্তম্ভর রয়েছে। ১৭টি স্তম্ভ তৈরি করে ২০০৪ সালে ঠিকাদার সংস্থা চলে গিয়েছিল। ১৭টির মধ্যে আবার ৩টি স্তম্ভ জলের তোড়ে বেঁকে যায়। এর পরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ একাধিক বার বিজ্ঞাপন দিলেও নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য আগ্রহী সংস্থা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যে মুম্বই রোড চার লেনের হয়ে যাওয়ায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। বর্তমানে ওই রাস্তায় দৈনিক গড়ে ৬৭ হাজার ইউনিট গাড়ি চলাচল করে (একটি ভারী ট্রাক ছয় ইউনিটের সমান)। সব গাড়ির চাপ পড়ে পুরনো সেতুর উপরে। ১৯৬৭ সালে আগের সেতুটি জীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তা দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে চালকদের ঝুঁকি নিতে হয়। মন্থর গতিতে গাড়ি চলাচলের ফলে সেতুর দুই দিকে প্রায়ই যানজট হয়। সমস্যার গুরুত্ব বুঝে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একাধিক বার কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহন নিগমের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। |
|
শেষমেশ ২০১০ সালে মুম্বই রোডকে ছয় লেনে পরিণত করার সিদ্ধান্ত হয়। যে ঠিকাদার সংস্থা রাস্তা সম্প্রসারণের বরাত পেয়েছিল, তাদেরই দায়িত্ব দেওয়া হয় সেতুর কাজ শেষ করার জন্য। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ওই সংস্থাকে অসমাপ্ত দ্বিতীয় সেতুর কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেতুর কাজ করতে গিয়ে যাতে ঠিকাদার সংস্থাকে কোনও অসুবিধায় পড়তে না-হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। নতুন ঠিকাদারকে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
ছবি: সুব্রত জানা |
|