মঞ্চে উঠে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারটা নিয়ে প্রায় দৌড়েই গোর্কি সদন ত্যাগ। বহু ভিআইপি তখন মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে। কিন্তু ১৪ বছরের দীপ্তায়ন ঘোষই তাদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ত। মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই মস্কোর বিমান ধরতে হবে যে।
টেলিগ্রাফ স্কুল দাবার ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনও ঘটেছে? সেরার পুরস্কার নিয়েই কেউ ছুটেছে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে বিদেশে? টুর্নামেন্টের ২৪ বছরের ইতিহাস হাতড়েও এমন কোনও ঘটনার কথা মনে করতে পারলেন না আলেখিন চেস ক্লাবের কর্ণধার সৌমেন মজুমদার। সে দিক থেকে দেখলে দেশের সর্বকনিষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার দীপ্তায়নের এই কীর্তি অনন্য। দশ পয়েন্ট পেয়ে সে-ই হল টেলিগ্রাফ দাবার সেরা। তারই স্কুল সাউথ পয়েন্টের কৌস্তভ কুণ্ডু দ্বিতীয় ও আদিত্য অ্যাকাডেমির শুভ্রদীপ্ত দাস তৃতীয়। |
২৪২৭ এলও রেটিং থাকা দীপ্তায়নের হাতে ট্রফি ও ২১ হাজার টাকার চেক দেওয়ার পর এ দিনের অতিথি বাংলার ক্রিকেট অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি যদিও বললেন, “এই ধরনের টুর্নামেন্ট সব সময় বাচ্চাদের উৎসাহিত করে। আমারও এখানে এসে খুব ভাল লাগছে”। বাচ্চাদের পরামর্শ দিলেন, “বাবা-মায়ের কথা শুনে চলবে। দেখবে তোমাদের ভাল হবে।” কিন্তু তাঁর মন খারাপ ইডেনে বাতিল হওয়া প্রথম ডিভিশন লিগ ম্যাচ খেলতে না পারায়। যে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল-কালীঘাট দুই ক্লাবের মধ্যে শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন সিএবি কর্তারা।
মনোজ বললেন, “এক সপ্তাহ ধরে ম্যাচটার অপেক্ষায় ছিলাম। ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভাল পারফরম্যান্স করতে পারলে আত্মবিশ্বাস নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলতে যেতে পারতাম। কিন্তু যে কারণে ম্যাচটা হল না, তাতে আমি খুব হতাশ এবং অবাক।” মঞ্চের সামনের সারিতে তখন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র ও তিরন্দাজ ভাই-বোন দোলা ও রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারত ‘এ’ দলের হয়ে ভাল পারফরম্যান্স করে টেস্ট দলে জায়গা পাওয়াই মনোজের লক্ষ্য। সে জন্য তিনি মুম্বই রওনা হবেন পাঁচ দিন পর আর দীপ্তায়ন রওনা হয়ে গেলেন এ দিনই। দুজনেরই নজর এখন একই দিকে। আরও উঁচুতে। |