আর কে খন্না টেনিস কমপ্লেক্সে শুক্র-শনিবার একটা ম্যাচ চললেও রবিবার ভারত-কোরিয়া ডেভিস কাপের পাশাপাশি আরও একটা ম্যাচ চলবে। সেটা অবশ্য কোর্টে হবে না। হবে এআইটিএ-র কনফারেন্স রুমের বন্ধ দরজার অন্তরালে। ফেডারেশন বনাম এগারো বিদ্রোহী প্লেয়ারের জোটের। সোমদেবরা থাকছেন না। বরং জোটের সঙ্গে পরের সেটের গেমপ্ল্যান তৈরি হবে সে দিন।
৩ ফেব্রুয়ারি এআইটিএ-র কার্যকরী কমিটির বৈঠকে খুব সম্ভবত বিদ্রোহীদের দাবিগুলো খতিয়ে দেখে তার সমাধানের রাস্তা বার করতে ফেডারেশন একটি তিন সদস্যের কমিশন গড়বে। যে কমিটিতে দিল্লি হাইকোর্ট এমনকী সুপ্রিম কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন শিল্পপতি এবং একজন প্রাক্তন ডেভিসকাপার থাকবেন। সেই প্রাক্তন টেনিস তারকা জয়দীপ মুখোপাধ্যায় হলেও অবাকের কিছু নেই। জয়দীপ এ দিনই দিল্লিতে পৌঁছলে তাঁকে এআইটিএ প্রেসিডেন্ট অনিল খন্না বলেন, “দরকারি কথা আছে।” ভারতীয় টেনিসের ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ডেভিস কাপ দলের প্রাক্তন নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেনের সঙ্গে যে-হেতু দেশের প্রায় সব প্রথমসারির প্লেয়ারের ভাল সম্পর্ক, তিনি প্রয়োজনে এই বিতর্কে ভাল ‘মিডিয়েটর’ হতে পারবেন।
এআইটিএ ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্তি চিদম্বরম, যিনি সোমদেবদের দাবিদাওয়ার সমর্থনে ফেডারেশনকেই কড়া ভাষায় চিঠিতে আক্রমণ করেছেন, এ দিন ড্রয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গেল, বাকি শীর্ষস্থানীয় টেনিস কর্তাদের থেকে দূরে-দূরে ঘোরাফেরা করছেন। কার্তির বিরুদ্ধে অবশ্য এখনই কোনও কড়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না ফেডারেশন। ধীরে চলো নীতি নিয়ে তাঁকে ক্রমশ এআইটিএ-র ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেওয়াই গেমপ্ল্যান কর্তাদের।
বিদ্রোহী জোটের ব্যাপারেও খুব সাবধানে পা ফেলতে চাইছে ফেডারেশন। সোমদেবদের আর্থিক দাবিগুলো কার্যত মেনেই নিয়েছে এআইটিএ। প্লেয়াররাও মোটামুটি হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এপ্রিলে ভারতের পরের ডেভিস কাপে তাঁদের পাওয়া যাবে। শুধু লিখিত আদানপ্রদান বাকি। আবার তেমনই এআইটিএ ঠিক করেছে, শিবপ্রকাশ মিশ্রকে ক্যাপ্টেন এবং জিশান আলিকেই কোচ রেখে দেবে। এসপি মিশ্র আজ নিজেই বললেন, “আমি মৌখিক ভাবে বলেছিলাম সরে দাঁড়াব। কোনও পদত্যাগপত্র দিইনি।” ফেডারেশনের এক শীর্ষ কর্তা আবার বললেন, “উনি চিঠি দিলেও সেই চিঠি আমরা গ্রহণ করতাম না। এখনও করব না।” তা ছাড়া, আনন্দ অমৃতরাজের নাম মাথায় থাকলেও তাঁকে ক্যাপ্টেন করলে প্রত্যেক টাইয়ে তাঁর পিছনে সাত-আট লক্ষ টাকা খরচের ধাক্কা আছে ফেডারেশনের। জিশানকে কোচ রেখে দেওয়ার অন্যতম কারণ, এই কয়েক দিনেই তাঁর হাড়ভাঙা পরিশ্রম করা দেখে কর্তারা খুশি। |