|
|
|
|
ছাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়লেন প্রৌঢ়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের। ওই ছাত্রীকেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর স্টেশনের অদূরে। রেল পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শচীন দাস (৫২)। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার প্রতাপপুরে। জখম হয়েছেন ছাত্রী সুজাতা পাত্র। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পালপাড়ায়।
এ দিনের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জিআরপির ওসি (খড়্গপুর) আশিস রায় বলেন, “ট্রেনে কাটা পড়ে ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” রেলেরই এক আধিকারিক জানান, “সচেতনতার অভাব থেকেই এমন দুর্ঘটনা বার বার ঘটছে। ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে রেল লাইনের উপর দিয়ে এখনও অনেকেই চলাচল করেন। সামনে ট্রেন দেখলে লাফিয়ে লাইন পেরোনোর চেষ্টা করেন।”
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে বিএড পড়ুয়া ওই ছাত্রী স্টেশনের দিক থেকে লাইন পেরিয়ে মেদিনীপুর স্টেশনের অদূরে রাঙামাটির দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই মেদিনীপুরে ঢুকছিল রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনটি সুজাতার প্রায় সামনে চলে এসেছে দেখে ওই ব্যক্তি তাঁকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন। ছাত্রীকে ঠেলে লাইনের বাইরে সরিয়ে দিতে পারলেও নিজে লাইনের উপর পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছেন ওই ছাত্রীও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ প্রধান বলেন, “ওই প্রৌঢ় ছাত্রীটিকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন। মর্মান্তিক ঘটনা।” রেলের এক আধিকারিক বলেন, “যাঁরা রেল লাইনের উপর দিয়ে চলাচল করেন, এমন ঘটনা থেকে তাঁদের সাবধান হওয়া উচিত। না হলে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো অসম্ভব।” |
|
|
|
|
|