|
|
|
|
চেতিয়াকে হাতে পাচ্ছে না ভারত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তির পরেও অনুপ চেতিয়াকে অসমে আনার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানাল বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশ ‘বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। অসম সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে আগে জানানো হয়েছিল, আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়াকে শান্তি আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। আশা ছিল, চুক্তির পরেই রাজশাহী জেলে থাকা চেতিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেবে বাংলাদেশ সরকার।
কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, চেতিয়া আলফা শান্তি-আলোচনায় অংশ নিতে আগ্রহ দেখাননি। চুক্তি স্বাক্ষরের পরে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগির জানান, রাজনৈতিক বন্দী বা আশ্রয়প্রার্থীরা ‘বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি’-র অধীনে পড়ছেন না। চেতিয়া যেহেতু সাধারণ ভারতীয় বন্দি নন, সাধারণ শাস্তির মেয়াদ পার হওয়ার পরে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে কারাগারে রয়েছেন, সে ক্ষেত্রে চুক্তির পরেও তাঁকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য নয় বাংলাদেশ সরকার। তাঁদের বক্তব্য, চেতিয়া রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে যে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন তা প্রত্যাহার করে, নিজে ভারতে ফিরতে চাইলে তবেই তাঁকে ভারতে পাঠানো সম্ভব। চেতিয়ার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা সংক্রান্ত মামলা আপাতত বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। তাই অদূর ভবিষ্যতে আলফার কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া, উপ-সভাপতি প্রদীপ গগৈ, উপ-সেনাধ্যক্ষ রাজু বরুয়া, বিদেশ সচিব শশধর চৌধুরী, অর্থ সচিব চিত্রবন হাজরিকা, সংস্কৃতি সচিব প্রণতি ডেকাদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়াকে শান্তি আলোচনার টেবিলে বসানোর সম্ভাবনা থাকছে না।
ইতিমধ্যে শশধর ও রাজু, গোবর্ধন পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামীর শিষ্য হিসেবে কুম্ভমেলায় পূণ্যস্নানে গিয়ে শান্তি আলোচনা ও মনের শান্তির জন্য প্রার্থনাও জানিয়ে এসেছেন। তাঁরা প্রয়াগ থেকেই অসম সমস্যা নিয়ে অসম ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিয়ে ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে এসেছে অসম সরকার। কেন্দ্র যদি সম্পূর্ণ অনুপ্রবেশ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়, ভূমিপুত্রদের স্বার্থ সুরক্ষিত করে ও সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে থেকে আলফার দাবিগুলি মেনে নেয় তাহলে অরণ্যবাসী আরও জঙ্গি শান্তির পথে পা মেলাবে।” যদিও আলফা সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া অবশ্য সংগ্রামপন্থী আলফার বিকল্প কেন্দ্রীয় কমিটি গড়ে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|