|
|
|
|
লোকপালে সংশোধন নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লোকপাল বিলে মন্ত্রিসভার সংশোধন নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধীদের খুশি করতে মনমোহন সিংহ সরকার সমঝোতার রাস্তায় হাঁটার ইঙ্গিত নিল। কিন্তু তার পরেও এ নিয়ে সুর নরম করতে রাজি নন বিরোধীরা।
লোকপাল নিয়ে রাজ্যসভার সিলেক্ট কমিটি যে ১৬টি সুপারিশ করেছিল, আজ সরকার দাবি করে, তার মধ্যে ১৪টিই মানা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, সিবিআইয়ের নির্দেশক নিয়োগের বিষয়টি লোকপালের আওতার বাইরে
রাখা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি,
অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশক নিয়োগের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিলেন। সেই মতো জেটলি, সীতারাম ইয়েচুরিদের নিয়ে সিলেক্ট কমিটি গঠন হয়, যার রিপোর্ট সব দলের সম্মতিতে তৈরি হয়। কিন্তু সংশোধনের নামে সেই রিপোর্টের কিছু সুপারিশ থেকে সরকার
পিছিয়ে আসছে।
বিজেপির বিরোধিতা নিয়ে সরকারের আগাম আশঙ্কা ছিলই। অণ্ণা, অরবিন্দ কেজরিওয়ালরাও সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছেন। এই অবস্থায় সরকার সমঝোতার পথে হাঁটার কৌশল নিচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর দাবি, সিবিআই লোকপালের নজরদারিতেই থাকবে। লোকপালের অধীনে সিবিআইয়ের পৃথক প্রসিকিউশন শাখাও তৈরি করা হচ্ছে। আর সিবিআই নির্দেশক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সিভিসি আইনের সংশোধনের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই সংসদে রয়েছে। সেটির সংশোধন হলেই প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিরা মিলে নির্দেশক নিয়োগ করতে পারবেন। কিন্তু সিলেক্ট কমিটি যখন সিবিআইয়ের নির্দেশক নিয়োগের বিষয়টি সরাসরি লোকপালের আওতায় রাখার সুপারিশ করেছে, তখন সরকারের এই যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধীরা।
বিজেপি মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, সরকার বলছে, সিলেক্ট কমিটির মাত্র দু’টি সুপারিশ তারা মানেনি। কিন্তু সরকার সিবিআই নির্দেশকের নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশও মানেনি। পাশাপাশি নির্দেশকদের দু’বছর চাকরির নিশ্চয়তা ও অবসরের পর তাঁদের আর কোনও সরকারি পদ না দেওয়ার প্রলোভনের বিষয় নিয়েও কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। সংসদে যখন এই নিয়ে আলোচনা হবে, তখন বিজেপি অন্য বিরোধী দলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ জানাবে। ইয়েচুরি আজ বলেন, “সিলেক্ট কমিটি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিলেন। ফলে তার সুপারিশ সংসদের সম্পত্তি। সেখানে কোনও সংশোধন করতে পারে না সরকার।”
তবে সরকার মনে করছে, লোকপাল বিল পাশ করানোর জন্য এখনও হাতে সময় রয়েছে। লোকায়ুক্ত গঠন রাজ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া, কলেজিয়ামের মাধ্যমে লোকপাল নিয়োগ করার মতো বিরোধীদের যাবতীয় প্রস্তাব মানা হয়েছে। বাকিগুলিও আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
|
|
|
|
|
|