|
|
|
|
ঝগড়ায় দলের ক্ষতি, রাহুলকে জানালেন প্রবীণরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কংগ্রেস সংগঠনে তিনি যে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিতে চান, জয়পুরে দলের চিন্তন শিবির থেকেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দাওয়াই দেওয়ার আগে দলের দুর্বলতার কারণগুলি আরও এক বার জেনে নিতে বসলেন রাহুল গাঁধী।
কংগ্রেস সদর দফতরে দলের সব সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদকদের নিয়ে আজ থেকে দু’দিনের বৈঠক ডাকেন রাহুল। শুরুতেই তিনি জানিয়ে দেন, দলের সাংগঠনিক ও নীতিগত ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়ে সকলে নির্ভয়ে মত জানাতে পারেন। সেই সব বক্তব্যের ভিত্তিতেই আসন্ন লোকসভা ভোটের কৌশল রচনা করবে দল। সেই বরাভয় পেয়ে একাধিক বিষয়ের উল্লেখ করেন প্রতিনিধিরা। যেমন, সংগঠনে পারস্পরিক রেষারেষি, প্রায় সব বিষয়ে দলের দীর্ঘসূত্রতা, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ঘটনায় সিদ্ধান্তহীনতা ইত্যাদি। সেই সঙ্গে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে গুলাম নবি আজাদের মতো বর্ষীয়ান নেতারা এ-ও জানান, গুরুত্ব দিতে হবে আঞ্চলিক নেতৃত্বকেও।
কংগ্রেস সদর দফতরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে আজ ওই বৈঠক চলে। পরে রাহুল ঘনিষ্ঠ এআইসিসি-র এক নেতা বলেন, লোকসভা ভোটের আগে এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে রাহুল নিজেই। কারণ, এক দিকে কেন্দ্র তথা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া, তার ওপর সামগ্রিক ভাবে দেশ জুড়ে নেতিবাচক পরিস্থিতি। সেই প্রতিকূল অবস্থার বিরুদ্ধে রাহুল যখন সর্বশক্তি দিয়ে লড়ার কথা ভাবছেন, তখন কংগ্রেস সংগঠনের ভিতরের ছবিটা একেবারেই সুখের নয়। তাই শুরুতেই সাংগঠনিক কাঠামোর সংস্কার চাইছেন তিনি। এ দিনের বৈঠক সেই লক্ষ্যেই।
কিন্তু সেই কাজটা যে কত কঠিন, আজ আরও এক বার বুঝলেন রাহুল। দলের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রবীণ নেতারা যে সব বিষয়ের উপরে জোর দিলেন, তার অন্যতম দলীয় কোন্দল এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে দলের শৃঙ্খলা। এ দিনের বৈঠকে সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলও দলে শৃঙ্খলারক্ষার উপরে জোর দেন।
রাজ্যে রাজ্যে দলের অবক্ষয়ের কারণগুলি আজ আলোচনায় উঠে আসে। বিলাস মুত্তেমওয়ার, মুকুল ওয়াসনিকের মতো নেতারা বলেন, কংগ্রেসের সব স্তরে অন্তর্কলহ চলছে। সাংগঠনিক দুর্বলতারও প্রধান কারণ এই রেষারেষি। তাতে ভোটে ভরাডুবিও হচ্ছে। শুনে রাহুল বলেন, যে কোনও মূল্যে এই পরিস্থিতি বদলাতে হবে। এই প্রসঙ্গে গুলাম নবি বলেন, রাজ্যস্তরে কোনও নেতার গ্রহণযোগ্যতা বাড়লেই দিল্লি থেকে তাঁর বিরোধী নেতাকে তুলে আনার চেষ্টা হয়। রাজশেখর রেড্ডি, তরুণ গগৈরা এই সমস্যা কাটাতে পেরেছিলেন। কিন্তু সকলে তা পারে না। আর এক নেতা বি কে হরিয়াপ্পা বলেন, যার অর্থের জোর আছে, দলে তারই কথা চলে।
পাশাপাশি দিগ্বিজয় সিংহ-সহ অনেকেই তুলেছেন সাংগঠনিক রদবদলের প্রসঙ্গ। রাহুল জানান, সময় মতো এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
কাল বক্তব্য রাখবেন তুলনামূলক তরুণরা। সেখানে উঠতে পারে দলের প্রবীণদের আচরণের বিষয়টিও। এক নেতার কথায়, কালই আসল বৈঠক।
|
স্বচ্ছতা আনতে সনিয়ার কমিটি |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
দলের ভোট খরচে স্বচ্ছতা আনার কথা চিন্তন শিবিরেই বলেছিলেন সনিয়া গাঁধী। বৃহস্পতিবার তিনি অম্বিকা সোনির নেতৃত্বে একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে
দেন। কংগ্রেস সূত্র বলছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশজোড়া ক্ষোভ প্রশমনেই এই সিদ্ধান্ত। ওই কমিটিতে বাকিরা হলেন বীরাপ্পা মইলি, এম এস গিল, মণিশঙ্কর আইয়ার, ই এম এস নাচিয়াপ্পান এবং মোহন গোপাল। |
|
|
|
|
|