বিদ্যাদেবীর পুজো নিয়ে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে গলাবাজি |
ফেল করেও পাশ করানো, হাজিরার হার কম থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে কলেজের অধ্যক্ষকে হেনস্থা করার ঘটনা প্রায় নিয়মে পরিণত হয়ে গিয়েছে। সেই তালিকায় এ বার যুক্ত হল সরস্বতী পুজোর দায়িত্ব পাওয়ার দাবিতে গোলমাল। অন্য অনেক ঘটনার মতো এ ক্ষেত্রেও অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। ঘটনাস্থল গড়িয়া দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজ। বৃহস্পতিবার এক দল পড়ুয়ার হাতে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও থাকার পরে বিকেলে মুক্ত হন ওই কলেজের অধ্যক্ষ সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।
কলেজ সূত্রের খবর, ২০১১-’১২ সাল থেকে হাইকোর্টের নির্দেশে সেখানে ছাত্র সংসদের নির্বাচন স্থগিত আছে। তাই কলেজে এখন নির্বাচিত ছাত্র সংগঠন নেই। তা থাকলে সরস্বতী পুজোর আয়োজন নিয়ে কোনও ঝামেলা হত না বলে মনে করেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে গত বছর শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরাই ওই পুজোর আয়োজন করেছিলেন। এ বছরও তেমনটাই হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই অসন্তোষ তৈরি হয় এক দল ছাত্রের মধ্যে।” কলেজ সূত্রের খবর, ওই পড়ুয়ারা টিএমসিপি-র সমর্থক।
পুজো আয়োজনের দায়িত্ব তাঁদের হাতে দেওয়ার দাবি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ওই পড়ুয়ারা অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করেন বলেও এসএফআইয়ের অভিযোগ। যদিও টিএমসিপি-র রাজ্য সম্পাদক সুজিত সাম এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, গত দু’বছর কলেজে সরস্বতী পুজো হয়নি। গত বছরের পুজোয় সব ছাত্রকে সমান ভাবে যুক্ত করা হয়নি বলেও অভিযোগ জানান সুজিত। তিনি বলেন, “সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই আমাদের সমর্থকেরা সকাল থেকে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন।”
অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা কমিটি গড়ে দুই শিক্ষককে পুজোর দায়িত্ব দিয়েছি। যে-সব পড়ুয়া পুজোয় যোগ দিতে চান, আমরা তাঁদের নাম লিখে যোগদান করতে বলেছি।” পরে অধ্যক্ষের ব্যবস্থা মেনে নিয়েই ঘেরাও তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। |