দেশ-বিদেশের সুফি শিল্পীরা গত তিন বছর ধরেই ভ্রাতৃত্বের গান শোনাতে জড়ো হয়েছেন শীতের কলকাতায়। কখনও মিশরের মওলাদের দরবিশি নাচ, কখনও বা বাংলার বাউলদের ভালবাসার সুর ছড়িয়ে পড়েছে মঞ্চ থেকে শহর-দেশের নানা প্রান্তে। বছরভর বিশ্বের নানা জায়গায় চলতে থাকা বিপ্লব, সন্ত্রাসের পরে কলকাতা যে শান্তিরক্ষার বার্তা ছড়াতে উদ্যোগী হবে, তা বাংলার ইতিহাসই বলে।
এই নিয়ে তৃতীয় বার শহরে বসছে এমন আসর। ২০১১ সালে মিশরে যখন দাউদাউ জ্বলছিল বিপ্লবের আগুন, ওই সময়েই সে দেশের সাধকেরা এ শহরে এসে শুনিয়েছিলেন বন্ধুত্ব-রক্ষার গান। এ বছর সেই মওলাদের সঙ্গে শহর দেখবে আরও এক অতি-সাহসী পদক্ষেপ। অশান্তিতে জর্জরিত ইরানের কড়া শাসনের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এই সমাগমে যোগ দিতে উড়ে আসছেন ১০ জন মহিলা সুফি সাধক-শিল্পীর দল। তাঁদের দেশই তো দেখিয়েছিল সুফি সাধনার পথ। এক মহিলা সাধকের হাত ধরেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল সুফি ভাবনা। অশান্ত সময়ের নাগরিকদের জন্য কী বার্তা নিয়ে আসছেন তাঁরা, শহর এখন তারই অপেক্ষায়। |
আজ থেকে তিন দিন সুফি গান ও নাচে মজবে শহর। বৃহস্পতিবার,
তারই এক ঝলক মোহরকুঞ্জে। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী |
যোগ দেবেন আরও বহু শিল্পী। তাঁদের কেউ সাধনার সুর বাঁধেন সুদূর রুশ দেশে, কেউ বা সুরে-তালে আল্লাকে খোঁজেন পাহাড়ি আজারবাইজানে বসে। সন্ধ্যায় সাজানো মঞ্চে অনুষ্ঠানের আগে প্রতি বছরের মতোই চলবে নানা অঞ্চলের লোকগানের কর্মশালা। স্পেনের শিল্পীদের গানের সঙ্গে বাজবে বাংলার বাউলের একতারা-দোতারা-গুবগুবি। তৈরি হবে নতুন ফিউশন। আজ, শুক্রবার থেকে রবিবার ‘সুফি সূত্র’-এর সেই আসর মোহরকুঞ্জে। |