নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
পঞ্চায়েতের অন্যান্য সংসদে বছরে ২৩ দিন, কোথাও বা ১৮, কোথাও ১২ দিন কাজ পেয়েছেন শ্রমিকেরা। কিন্তু তাঁদের এলাকার শ্রমিকেরা কাজ পেয়েছেন মাত্র ৬ দিন। তাই আরও কাজের দাবিতে বৃহস্পতিবার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন নলহাটি থানার তেজহাটি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশ গিয়ে আলোচনা করেও পঞ্চায়েত ভবন খুলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত দু’দিন বিনা কাজে ১৩৬ টাকা করে মজুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন কুরুমগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাবর আলি। এর পরেই বিকেল সাড়ে তিনটের পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। |
প্রধানকে বসিয়ে রেখে চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন, দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মহিলারা পঞ্চায়েতের মূল গেট ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের কারও কারও হাতে ঝুড়ি রয়েছে। তেজহাটির স্কুলপাড়ার বাসিন্দা আদরী লেট, সন্ধ্যারানি ধীবররা বলেন, “গ্রামের গোবরা পুকুর সংস্কারের কাজ চেয়ে চার দিন ধরে ঘুরছি। কাজ দিচ্ছে না। গত বছর মাত্র ৬ দিন কাঁদরে মাটি কাটার কাজ পেয়েছিলাম। এ বছর তাও পাইনি।” কাশীনাথ দাস, বিজয় ধীবরদের অভিযোগ, “পঞ্চায়েতের অন্যান্য সংসদে কোথাও ২৩ দিন, ১৮ দিন কাজ হয়েছে। আমাদের সংসদে কোনও কাজ হচ্ছে না। প্রধান বেছে বেছে নিজের পছন্দ মতো সংসদে কাজ দিচ্ছেন।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১-১২ আর্থিক বছরে শ্রমিকেরা গড়ে ১৮ দিন কাজ পেয়েছিলেন। ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত গড়ে ২৩ দিন কাজ পেয়েছেন শ্রমিকেরা। প্রধানের দাবি, “পুকুর যদি না পাওয়া যায়, তা হলে কী করে কাজ করব। যদি শ্রমিকদের দাবি মেনে কাজ দেওয়া হয়, তা হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাপ দিচ্ছে কেন দেওয়া হল। আবার শ্রমিকেরা মাটি কাটার পরিমাপ করে মজুরি নেবেন না। আমরা উভয় সঙ্কটে পড়েছি।” এ দিন গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত কর্মীদের মারধর ও প্রধানকে হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও নলহাটি ১ ব্লকের বিডিও তাপস বিশ্বাস বলেন, “এ দিন কী ঘটেছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |