টুকরো খবর
স্কুল সম্পাদককে খুনে তিন জনের যাবজ্জীবন
স্কুলের খেলার মাঠের জায়গা দখলের বিবাদকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছিলেন স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক। বৃহস্পতিবার ওই খুনের দায়ে তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল রামপুরহাট আদালত। সরকার পক্ষের আইনজীবী সন্তোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০০৯ সালের ৩১ মে মাড়গ্রাম থানার কানাইপুর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক নুরউদ্দিন শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়েছিল। ওই খুনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক গুরুপদ মণ্ডল লালচাঁদ শেখ, ইয়াফোর শেখ ও মিল্টন শেখকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছেন।” সন্তোষবাবু জানিয়েছেন, ঘটনার দিন লালচাঁদ স্কুলের মাঠে দেওয়াল তুলে জমি দখল করার চেষ্টা করছিল। তাতে বাধা দিয়েছিলেন নিহত নুরউদ্দিনবাবু। অভিযোগ ছিল, বাড়ি ফেরার পথে লালচাঁদ শেখ ও সঙ্গীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। তাতেই জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন নুরউদ্দিনবাবু। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহতের মা ওই ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ করেন। আদালত অন্য দুই অভিযুক্ত মইনুদ্দিন শেখ ও ফল্টু শেখকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে। এ দিন মামলার সাজা শোনার পর নিহতের দাদা মহম্মদ শামসউদ্দিন বলেন, “বোমা মারার পর ভাই গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছিল। সেই অবস্থাতেই লালচাঁদরা ভাইয়ের নিম্নাঙ্গে লাথি মেরে মেরে আরও জখম করে দিয়েছিল। ওই অপরাধীদের এই সাজায় আমরা খুশি।”

গ্রেফতার সিপিএম নেতা
বোমাবাজি ও ঝামেলা পাকানোর অভিযোগে সিপিএমের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত মহাফিজুল করিমের বাড়ি লাভপুরের পুসুলিয়া গ্রামে। তিনি সিপিএমের লাভপুর জোনাল কমিটির সদস্য। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে লাভপুরের পুসুলিয়া গ্রামে একশো দিন কাজের মজুরি নিয়ে বচসার জেরে তৃণমূল ও সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ঝামলা বাধে। তৃণমূলের লাভপুর ব্লক কমিটির সম্পাদক তরুণ চক্রবর্তীর অভিযোগ, “মহাফিজুলের নেতৃত্বে সিপিএম আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে বোমাবাজি করে। তাতে আমাদের দুই সমর্থক জখম হন।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএমের লাভপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক পল্টু কোঁড়া। তাঁর দাবি, “ওই ঘটনার সময়ে মহাফিজুল ওই এলাকায় ছিলেন না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কারণে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।” ওই ঘটনায় সিপিএমের ১৫ জন ও তৃণমূলের ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছিল। তার মধ্যে সিপিএমের তরফে তিন জন জামিন নিলেও মহাফিজুল-সহ বাকিরা অধরা ছিল। মহাফিজুল শিক্ষাবন্ধুর কাজ করেন। সেই কাজের সূত্রে তিনি বুধবার লাভপুরে আসেন। সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা জানান, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মহাফিজুলকে ধরা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।

পুড়িয়ে মারার দায়ে সাজা
পণের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্বামীর। উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় এই মামলায় আরও দুই অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পান। ২০০৮ সালের জুলাই মাসে ইলামবাজার থানার কয়রা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় শম্পাদেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। মৃতার বাবা, তিন জনের বিরুদ্ধে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন। ১০ জুলাই শম্পাদেবী মারা যাওয়ার পরে তিন জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করে পুলিশ। সরকারি আইনজীবী তপনকুমার দে জানান, বৃহস্পতিবার বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহ ওই বধূর ভাসুর ও জা’কে বেকসুর খালাস দিলেও স্বামী বাসুদেব সেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। যদিও মত বদল করায় এই মাললায় অভিযোগকারী মৃতার বাবা-সহ ৫ জনকে বিরূপ সাক্ষ্যী বলে ঘোষণা করেছিলেন সরকারি আইনজীবী। তবে মৃত্যুকালীন জবানবন্দী-সহ ১৫ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এই সাজা হয়।

নাবালিকাকে ধর্ষণে কারাদণ্ড
এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে প্রতিবেশী যুবককে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন সিউড়ির ফাস্ট ট্র্যাক প্রথম আদালতের বিচারক প্রিয়ব্রত দত্ত। বৃহস্পতিবার এই মামলার রায়ে বিচারক দোষী শ্রীনাথ মুর্মুকে দশ হাজার টাকা জরিমানা (অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেল) দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ সামিদুল আলম বলেন, “২০০৫ সালের ৯ মে-র ওই ঘটনায় মহম্মদবাজার থানা এলাকার এক নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল তারই গ্রামের শ্রীনাথ মুর্মু।” তিনি জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শ্রীনাথকে গ্রেফতারও করেছিল। পরে বিচার চলাকালীন জামিন পেয়ে শ্রীনাথ পালিয়েওছিল। কয়েক মাস আগেই ফের ধরা পড়ে। সামিদুলবাবু আরও জানিয়েছেন, ওই জরিমানার টাকা নির্যাতিতার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শ্রীনাথের আইনজীবী মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন।

ডাকাতিতে ধৃত ৪
দু’ বছর আগে ইলামবাজারে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিন জনের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের থেকে চুরি যাওয়া বেশ কিছু সামগ্রীও উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার বোলপুর আদালত ধৃতদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১১ সালের ৩১ মে ইলামবাজার থানার হাটতলা এলাকার নবগোপাল নন্দীর সোনার দোকানে লক্ষাধিক টাকার ডাকাতি হয়েছিল। গত বছরই পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত বন্ধ করে আদালতে রিপোর্ট দিয়েছিল। সম্প্রতি দুবরাজপুরে এক ব্যবসায়ী খুন ও ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইলামবাজারের ওই ঘটনায় যুক্তদের কয়েক জনের নাম পায়। বুধবার ঝাড়খন্ড থেকে তিন জনকে ও অন্য জনকে ধরা হয় সদাপুর থেকে।

যন্ত্রের বেল্টে জড়িয়ে মৃত্যু
তেল মিলে কাজ করার সময় মেশিনের বেল্ট জড়িয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। বুধবার গভীর রাতে সাঁইথিয়ার ওমুয়া এলাকার একটি তেল মিলের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অক্ষয় শীট (৪৪)। তাঁর বাড়ি সাঁইথিয়ার লাউতোড়ে। পুলিশ ময়না-তদন্তের পর দেহটি মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। অক্ষয়বাবুর ছেলে সমীর শীট বলেন, “বাবার মাথায় বেল্টের এমন চোট লেগেছিল যে মুখ দেখে বাবাকে চেনাই যাচ্ছিল না।” লাউতোড় এলাকার (১ নম্বর ওয়ার্ড) কাউন্সিলর উত্তম মণ্ডল বলেন, “মিল মালিক অক্ষয়বাবুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।” এ দিকে, পুলিশ ওঘ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.