নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁকসা |
তৃণমূলের মদতে বর্ধমানের কাঁকসায় রাস্তা আটকে এসার অয়েলের থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস আদায় করেছেন গ্রামবাসী। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁরা যখন জমির মালিকানার কাগজপত্র সংস্থার কাছে জমা দিতে যাচ্ছেন, তা ছিনিয়ে নিতে চেয়ে চড়াও হল তৃণমূলেরই এক গোষ্ঠী। অপর গোষ্ঠী বাধা দিলে মারপিট বাধে। পাঁচ জন চোট পান। পুলিশ টহল চলছে।
গ্রামের মোরাম রাস্তা এসার কেন বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করবে, সেই প্রশ্ন তুলে দিন কয়েক আগে কাঁকসার জাটগোড়িয়া গ্রামে বেড়া দিয়ে রাস্তাটি আটকে দেওয়া হয়েছিল। পরে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় এসার জানিয়ে দেয়, তারা বাজারদরে জমি কিনবে। ১৫ দিনের মধ্যে জমিমালিকদের কাছ থেকে কাগজপত্র নিয়ে বিডিও-র কাছে জমা করবে সংস্থাটি। প্রশাসন জমি মাপজোকের ব্যবস্থা করে মালিকদের নির্দিষ্ট করে দিলেই চেক দেওয়া হবে। |
এই আশ্বাস পেয়েই মঙ্গলবার রাতে গ্রামবাসী রাস্তা খুলে দেন। বুধবার থেকে স্বাভাবিক উৎপাদন শুরু হয়। রাস্তাটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ৮৩ জনের জমি পড়ছে। জাটগোড়িয়ার বাসিন্দা তথা দুর্গাপুর মহকুমা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সরিফ মণ্ডল জানান, সরাসরি এসারের কাছেই জমির মালিকানার নথিপত্র জমা দেওয়ার এবং তাদের থেকে চেক নেওয়ার কথা। সেই মতো এ দিন সকালে কয়েক জন এসারের প্রতিনিধির কাছে মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিতে যান।
ওই জমিদাতাদের অভিযোগ, রাস্তায় তৃণমূলের জাটগোড়িয়া অঞ্চল সভাপতি শেখ বরকত আলি ও স্থানীয় নেতা শেখ সাজাহান মণ্ডলের নেতৃত্বে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী তাঁদের উপরে চড়াও হয়। অল্পবিস্তর চোট পান সাইদুল ইসলাম (সরিফ মণ্ডলের ছেলে তথা এসারের একটি কুয়োর নিরাপত্তারক্ষী), এক মহিলা ও বালক-সহ পাঁচ জন।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে বসে আক্রান্ত শেখ সাদেক অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের যে কয়েক জন গত তিন দিন ধরে আন্দোলন করছিল, তারাই আমাদের উপরে চড়াও হয়। দাবি করে, কাগজপত্র ওদের হাতে তুলে দিতে হবে। রাজি না হওয়ায় আমার উপরে চড়াও হয়।” সরিফ মণ্ডলের দাবি, “জমিমালিক ও এসার কর্তৃপক্ষের মাঝে থেকে কিছু কামিয়ে নেওয়ার জন্য তৃণমূলের নামে হামলা চালানো হয়েছে।” বরকত আলি অবশ্য দাবি করেন, জমিমালিকদের অনেকেই ঠিক মতো লেখাপড়া জানেন না। সে কারণেই তাঁরা ‘সাহায্য’ করতে গিয়েছিলেন। পাঁচ আহতকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। |