টুকরো খবর |
বরাদ্দ ছ’কোটি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের অবসরপ্রাপ্তদের বকেয়া পেনশন মেটাতে সাড়ে ৬ কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। বুধবার রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র ফোন করে সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ওই বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানান। ফলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নিগমের আড়াই হাজারের বেশি অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর অক্টোবর থেকে বকেয়া পড়ে থাকা পেনশন সমস্যা মিটবে বলে আশা করছেন নিগম কর্তৃপক্ষ। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “‘ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া থাকা পেনশন মেটাতে রাজ্য সরকার বুধবার ৬ কোটি ৫৫ হাজার ১৯ হাজার ৫৫৫ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এদিন ফোনে পরিবহণ মন্ত্রী নিজেই ওই কথা জানিয়েছেন। শীঘ্রই বকেয়া পেনশনের টাকা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা পেয়ে যাবেন।” এনবিএসটিসি রিটায়ার্ড স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গুনেন মিত্র বলেন, “যা টাকা এসেছে তাতে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের বকেয়া একশো শতাংশ পেনশন মেটানো হবে বলে শুনেছি। ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকলকেই ৫০ শতাংশ টাকা পেনশন দেওয়া হয়। আমরা দ্রুত ওই বকেয়া মেটানোর দাবি জানাচ্ছি।” |
ধৃত পুলিশ হেফাজতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
সাংসদ তহবিলের টাকা নয়ছয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত সরকারি কর্মী প্রদীপ চক্রবর্তীকে ১৪ দিনের হেফাজতে নিল পুলিশ। বুধবার অভিযুক্ত ওই আপার ডিভিসন ক্লার্ককে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপকুমার মান্নার এজলাসে তোলা হয়। এ দিন কোনও আইনজীবী অভিযুক্তের পক্ষে দাঁড়ায়নি। বিচারক পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন। জেলা আদালতের আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ বলোন, “কোনও আইনজীবী অভিযুক্তের পক্ষে দাঁড়াতে রাজি হননি। বিচারক অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।” সরকারি আইনজীবী ধ্রুবেশ চক্রবর্তী বলেন, “বিচারক অভিযুক্তকে ১৪ দিনের পুলিশ হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।” একাধিক অফিসারের সই জাল করে ভুয়ো ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ দেখিয়ে চেক সই করে পচ্ছন্দের ঠিকাদারদের প্রায় এক কোটি টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ধৃত সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে। ১১ জানুয়ারি ফরওয়ার্ড ব্লক সাংসদ নৃপেন রায়ের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের ওই টাকা নয়ছয়ের ঘটনা নিয়ে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন জেলাশাসক মোহন গাঁধী। ওই দিন ছুটি দরখাস্ত জমা দিয়ে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত। মঙ্গলবার জামালদহ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। |
বিক্ষোভ, অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাহুল রায়-সহ অন্যদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কোচবিহারে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র পরিষদ। বুধবার দুপুর ২টা থেকে শহরে তিনএলাকায় এক ঘন্টা অবরোধ চলে। গুঞ্জবাড়ি স্টেশন মোড় ও আইটিআই মোড়ে অবরোধে শিলিগুড়ি-আলিপুরদুয়ার, মাথাভাঙা, দিনহাটা এবং তুফানগঞ্জ রুটের নিত্যযাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। পুলিশ গিয়ে দাবির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তাদের নজরে আনার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। ছাত্র পরিষদের কোচবিহার জেলা সভাপতি অরিন্দম দে বলেন, “রাজ্য সভাপতি-সহ অন্য সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবরোধ। এই বিষয়ে আর কয়েকটা দিন দেখা হবে। কাজ না হলে জেলায় বন্ধ ডাকার কথা ভাবা হবে।” |
তালায় বন্দি প্রধানশিক্ষক
নিজস্ব সংবাদদাতা • দিনহাটা |
পাঠ্যবই না-দেওয়ার অভিযোগে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘরে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাল অভিভাবকরা। বুধবার দিনহাটার বাসন্তীরহাট পঞ্চম পরিকল্পনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটেছে। বেলা ১১ টা থেকে ওই বিক্ষোভ শুরু হয়। বেলা ৩টা নাগাদ শিক্ষা দফতরের কর্তারা স্কুলে গিয়ে দ্রুত বই দেওয়ার আশ্বাস দিলে তালা খুলে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের পক্ষে আনোয়ার হোসেন বলেন, “শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও প্রথম শ্রেণীর পড়ুয়াদের বই বিলি করা হয়নি। অন্য ক্লাসের বহু পড়ুয়াও বই পায়নি। বাধ্য হয়ে প্রধান শিক্ষককে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে হয়।” কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার বলেন, “প্রথম শ্রেণির বই আছে। তা কার গাফিলতিতে পৌঁছয়নি দেখা হবে।” |
বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন ব্যবহার করে অস্থায়ীভাবে ক্লাস চালু করতে চাইছেন মণীষী পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাড়পত্র চেয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন উপাচাযর্র্ ইন্দ্রজিৎ রায়। উপাচার্য বলেন, “জুলাইয়ে শিক্ষাবর্ষ শুরু। শিক্ষাবর্ষে ক্লাস চালুর চেষ্টা করছি।” আজ, বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের একটি অনুষ্ঠানে আসার কথা। তিনি বিষয়টি পর্যালোচনা করতে পারেন। বিধানসভা পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রীকে আমি সামগ্রিক অগ্রগতি ও পরিস্থিতির কথা জানাব। আগামী শিক্ষাবর্ষে ক্লাস চালু করার ব্যাপারে খামতি রাখতে চাইছি না।” |
বাস উল্টে মৃত দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
যাত্রিবাহী ছোটবাস উল্টে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার তুফানগঞ্জ থানার চিলাখানায় ঘটনাটি ঘটে। মৃতদের নাম দয়াময় বর্মন (৫০) এবং ফরিজুল ইসলাম (৩৫)। ফরিজুল ওই বাসের কর্মী ছিলেন। বাড়ি কোচবিহার কোতোয়ালি থানার ধলূয়াবাড়িতে। যাত্রী দয়াময়বাবুর বাড়ি চিলাখানায়। জখম হন ১৫ যাত্রী। কোচবিহার থেকে বাসটি তুফানগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। আচমকা চিলাখানায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে দয়াময়বাবুর মৃত্যু হয়। কোচবিহার জেলা হাসপাতালে আনা হলে সেখানে মারা যান ফরিজুল। ১২ জনকে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার জেরে প্রায় একঘন্টা সড়কে যান চলাচল ব্যহত হয়। |
বিপাকে পানচাষিরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাথাভাঙা |
‘পচাপাতা’ রোগের প্রকোপ ছড়ানোয় মাথাভাঙার বিস্তীর্ণ এলাকায় পান চাষিরা বিপাকে। উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথাভাঙা ১, ২ ব্লক ছাড়াও শীতলখুচি এলাকায় পান খেতে ওই রোগের প্রকোপ ছড়িয়েছে। ওই রোগে প্রথম দিকে পান পাতায় ছোপ ছোপ দাগ হচ্ছে। পাতা পচে ঝরে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে দরকারি প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যাপারে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়। |
|