কর্মচারি সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তীকে নিগ্রহের অভিযোগে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইংরেজির শিক্ষক শত্রুঘ্ন সিংহ এবং রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অচ্যুতমোহন রায়চৌধুরী। বুধবার দুপুরে তাঁরা রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ব্যক্তিগত ৩০০ টাকার বন্ডে তাঁদেরকে শতসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন। সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার বলেন, “অভিযুক্তদের নামে প্রায় আট মাস আগে কলেজ চত্বরেই সুব্রতবাবুকে আটকানো ও মারধর করার অভিযোগে জামিনযোগ্য ৩৪১, ৩২৫ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়। সম্প্রতি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। সমন পাঠিয়ে তাঁদেরকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল।” বিষয়টি নিয়ে শত্রুঘ্নবাবু মন্তব্য করতে চাননি। অচ্যুতমোহনবাবু বলেন, “যা বলার সেটা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যই বলবেন।” অচ্যুতবাবুর আইনজীবী দীপক দাস ও শত্রুঘ্নবাবুর আইনজীবী নবকুমার রায় বলেন, “মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আদালতে প্রমাণ হয়ে যাবে।”
২০১২ সালের ৭ জুন কর্মচারি সমিতি সম্পাদক সুব্রতবাবু,শিক্ষাকর্মীর একাংশ টিচার্চ কমনরুমে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শত্রুঘ্নবাবুকে ভর্তি সংক্রান্ত প্রশাসনিক কাজকর্মে দায়িত্ব বন্টনে অনিয়মের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। সেই সময় শত্রুঘ্নবাবু ও অচ্যুতবাবু কর্মচারি সমিতির সদস্য তপন নাগ ও সুব্রতবাবুকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, শত্রুঘ্নবাবুকেও পাল্টা নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে সুব্রতবাবু সহ কর্মচারি সমিতির পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর সুব্রতবাবু শত্রুঘ্নবাবু ও অচ্যুতমোহনবাবুর বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। শত্রুঘ্নবাবুও সুব্রতবাবু ও তপনবাবু সহ কর্মচারি সমিতির পাঁচ সদস্যের নামে থানায় পাল্টা অভিযোগ জানান। শত্রুঘ্নবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১২ সালের ২৪ জুলাই অভিযুক্ত সুব্রতবাবু, তপনবাবু সহ কর্মচারী সমিতির বাকি তিন সদস্য বিকাশ নাগ, সুবীর সাহা ও বিনয় গোস্বামী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ দিন আদালতে যান কলেজের আরেক প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকার, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবাশিস বিশ্বাস, টিচার্স কাউন্সিলের সম্পাদক অশোক দাস প্রমুখ আরও অনেকে। |