যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য কোটি টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক ট্রাফিক সিগন্যালের ব্যবস্থা করেছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। ব্যবস্থা হয়েছে আলোর। কিন্তু সিগন্যালের আলো জ্বললেও তা মানছেন না গাড়ির চালক ও পথচারীদের কেউ। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর শহরের ছবি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার ওই পরিস্থিতি দেখেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ইসলামপুরের মহকুমাশাসক সমনজিত সেনগুপ্ত বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। ট্রাফিক সমস্যাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেড় মাস আগে ট্রাফিক সিগন্যালের ব্যবস্থা করা হয়। সেটা শহরের শোভা বাড়ালেও যানজট নিয়ন্ত্রণের কোনও কাজে আসেনি। ট্রাফিকের কর্মরত পুলিশ কর্মীরা দিনভর পুরোনো বাইক ও নাম্বর প্লেটহীন বাইক ধরতে ব্যস্ত থাকেন। সিগন্যাল কেউ মানছেন কিনা সেটা দেখার সময় তাঁদের নেই। স্থানীয় বাসিন্দা অমিত কুণ্ডু বলেন, “শুনেছি ট্রাফিক সিগন্যালে প্রচুর খরচ হয়েছে। সেটা দূরপাল্লার ট্রাকগুলি মানলেও স্থানীয় গাড়ি মানছে না। পুলিশের মাথা ব্যথা নেই।”
উত্তর দিনাজপুরের পরিবহণ আধিকারিক তপন মল্লিক বলেন, “বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।” কিন্তু আধিকারিকেরা যাই বলুন না কেন বাসিন্দাদের অভিযোগ, যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যর্থ। এলাকায় বেআইনি পার্কিং ও ব্যবসায়ীদের ৩১ নং জাতীয় সড়কের ফুটপাত দখল রুখতে পুলিশ ও মহকুমা প্রশাসন পুরসভাকে সঙ্গে নিয়ে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ নিলেও ফের আগের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার ফুটপাত বেদখল হয়েছে। যদিও ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল ওই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবমিল পাল বলেন, “শহরের রাস্তায় সিগন্যাল পয়েন্ট থাকলেও বিভাজন রেখা সহ বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেটা কাটিয়ে তুলতে শহরের ট্রাফিক নিয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” |