দীর্ঘ দিন বিল না মেটানোয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং হস্টেল-সহ পাঁচটি মিটারের লাইন কেটে দিল রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থা। বুধবার বিকেলে এই সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পরে অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শীঘ্র কিছু টাকা মেটানোর আশ্বাস দিলে সংযোগ ফেরানো হয়।
রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থার বর্ধমান-১ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার সূত্রে জানা যায়, বর্ধমান মেডিক্যালের ওই পাঁচটি মিটারের মোট ৩৭ লক্ষ টাকা বিল বকেয়া। গত ছ’মাস ধরে টাকা পাচ্ছে না তারা। ২৮ জানুয়ারির মধ্যে বকেয়া মেটানো না হলে ওই পাঁচটি মিটারের লাইন কেটে দেওয়া হবে জানিয়ে গত ২২ জানুয়ারি মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল তথা হাসপাতালের সুপার অসিতবরণ সামন্তকে চিঠি পাঠান ওই কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক মণ্ডল। তা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা মেটানো হয়নি। তাই এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ নার্সিং হস্টেল, দু’টি পাম্প হাউস ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের দু’টি আবাসনে বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা যায়, সুপার অসিতবরণবাবু বুধবার একটি চিঠি দিয়ে জানান, ওই মিটারগুলি থেকে ব্যক্তি-ব্যবহারের জন্য বিদ্যুত্ নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের জন্য জনস্বার্থে কোনও বিদ্যুত্ নেওয়া হয় না। এ কথা জানাজানির পরেই নার্সিং হস্টেল ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী আবাসনের বাসিন্দারা ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিদ্যুত্ না থাকায় জলের অভাবে সমস্যায় পড়েন ওই আবাসিকেরা। পরে সুপার অসিতবরণবাবু আগামী শনিবারের মধ্যে কিছু টাকা মেটানোর আশ্বাস দেন বলে হাসপাতাল ও বিদুত্ বণ্টন সংস্থা সূত্রে খবর। আশ্বাস মিলতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ওই পাঁচটি লাইনে বিদ্যুত্ সংযোগ দেওয়া হয়।
জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা বলেন, “কী ভাবে এত টাকা বকেয়া হল ও কেন তা মেটানো হয়নি, তা হাসপাতালের কাছে জানতে চাওয়া হবে। বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থাকে হাসপাতালের আবাসনগুলিতে বিদ্যুত্ সরবরাহ চালু রাখতে বলা হয়েছে।” |