এক আদিবাসী মহিলাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবক একাধিক বার সহবাস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে ওই মহিলা অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে কুমারগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শিববাড়ি এলাকার ওই মহিলার অভিযোগ, বর্তমানে তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ওই দিন সকালে তিনি অভিযুক্ত যুবক মানিক দাসের বাড়িতে যান। মানিক, তার বাবা ও ভাই মিলে তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। মারধরের অভিযোগে পুলিশ রাতে মানিকের বাবা জিতেন দাসকে গ্রেফতার করে। অপর দু’জন পলাতক। ওই মহিলাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা শুরু করা হয়েছে। এক জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মূল অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” ওই মহিলা জানিয়েছেন, গ্রামেরই এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। তিন বছর আগে দুই বছরের এক ছেলে ও এক বছরের এক মেয়ে সহ তাঁকে স্বামী বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এর পর তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন। দিনমজুরি করে সংসার চলত। অভিযোগ, গত দুর্গা পুজায় মেলায় ঘুরতে গিয়ে কুমারগ্রামের ঝরনা পাড়ার মানিকের সঙ্গে পরিচয় হয়। এক দিন সন্ধ্যায় মানিক তাঁদের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পিছনের সুপারি বাগানে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে বলে তিনি দাবি করেন। তাঁকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেয় মানিক। অভিযুক্ত তাঁকে একাধিক বার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মানিককে বিষয়টি জানান। তার পর থেকেই মানিক তাঁকে এড়ানো শুরু করে বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, “আমি বিয়ের দাবি নিয়ে মানিকের বাড়িতে গেলে আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিচারের দাবিতে থানায় অভিযোগ করেছি।” মহিলার দাদা সন্দীপ ওঁরাও বলেন, “অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।” কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসন্তি কেরকাট্টা, “অসহায় মহিলা যাতে সঠিক বিচার পান তার জন্য পুলিশের সাথে কথা বলব।” |