সবলা প্রকল্পের আওতার বাইরে কিশোরীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
সবলা প্রকল্পে সরকার থেকে কিশোরীদের সুষম খাবার দেওয়া হলেও, আগ্রহ দেখাচ্ছেন না অভিভাবকরা। মঙ্গলবার রঘুনাথপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে ওই প্রকল্পে নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এমন তথ্যই উঠে এল। কিশোরী শক্তি যোজনার পরে কিশোরীদের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটনোর লক্ষে ‘সবলা’ নামের এই পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। দেশের ২০০টি জেলায় এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। রাজ্যের ছ’টি জেলার মধ্যে পুরুলিয়াও রয়েছে। রঘুনাথপুরের সুসংহত শিশু বিকাশ আধিকারিক অর্চনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কিশোরীদের পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া ছাড়াও তাদের ক্ষমতায়ন, সামাজিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক সামাজিক সদস্য হিসাবে গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের লক্ষ। প্রথম ধাপে এই ব্লকের ১৫০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কিশোরীদের প্রকল্প সর্ম্পকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শেষ পর্যায়ে। বস্তুত কিশোরীদের পুষ্টিগত দিকের বিষয়টি মাথায় রেখেই তাদের প্যাকেট ভর্তি একটি বিশেষ খাবার দেওয়া হচ্ছে। অর্চনাদেবী বলেন, “ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ এই সুষম খাবারের প্রতি প্যাকেটের দাম পাঁচ টাকা। প্রতি শনিবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি থেকে তা দেওয়া হচ্ছে।” তবে এখনও পর্যন্ত ওই খাবার নিতে কিশোরী বা তাদের পরিবারগুলি সে ভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।” বিএমওএইচ লিধুরাম হাঁসদা বলেন, “কৈশোরে পুষ্টির অভাবের জেরে পরিণত বয়সে মহিলারা নানা সমস্যায় ভোগেন। তাই এই সুষম খাবার প্রতিটি কিশোরীর খাওয়া প্রয়োজন।” কর্মশালায় রঘুনাথপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসন্তী বাউরি, বিডিও সুনীতিকুমার গুছাইত প্রমুখ ছিলেন।
|
ঝালদায় স্ত্রী খুনে স্বামীর যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে যাবজ্জীবন কারদণ্ড হল ঝালদার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। তাঁর নাম নিবারণচন্দ্র পোদ্দার। বুধবার এই রায় দেন পুরুলিয়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মনোজিত মণ্ডল।.সরকার পক্ষের আইনজীবী কঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০০৮ সালের ২২ অগষ্ট সকালে ঝালদা শহরের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির চিলেকোঠার ঠাকুরঘর থেকে তাঁর স্ত্রী মিতালিদেবীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। মামলার সহকারি আইনজীবী শুভেন্দু পট্টনায়ক জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুরুলিয়া শহর থেকে বধূর বাপের বাড়ির লোকজন ঝালদায় যান। ঠাকুরঘরে দিদির অগ্নিদগ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁর ছোটভাই সুশান্ত পাল ঝালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আদালতে চার্জশিট পেশ করে। বিচার শুরু হয় ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে। শুভেন্দুবাবু জানিয়েছেন, মামলার সাক্ষ্যে উঠে এসেছে তিনি বিবাহ বর্হিভূত সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েছিলেন। মিতালিদেবী এর প্রতিবাদ করেছিলেন। সে কারণে নিবারণবাবু তাঁকে খুন করেন। প্রথমে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিচারক অভিযুক্তকে এ দিন খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪৯৮ (ক) ধারা মতে তিন বছরের সশ্রম কারদণ্ডে দণ্ডিত করেন। সেই সঙ্গে ৫০০০ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেন। মৃতার ভাই সুশান্ত পাল এ দিন আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, “দিদির নৃশংস মত্যুর সুবিচার পেলাম।”
|
দুর্ঘটনায় মৃত এক, আহত ৫
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর ও হুড়া |
বাঁকুড়ায় আঞ্চলিক মাদ্রাসা ক্রীড়ানুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে পথ দুর্ঘটনায় আহত হল হুড়ার মজফ্ফর একাডেমি হাইমাদ্রাসার চার ক্রীড়াবিদ। বুধবার হুড়ার শামুকগড়িয়ার কাছে, পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০এ জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। হুড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও ওই প্রতিযোগিরা এ দিন আর প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারেনি। প্রধান শিক্ষক আহমদুল্লা আনসারি বলেন, “বুধবার বাঁকুড়া ষ্টেডিয়ামে আঞ্চলিক ক্রীড়ানুষ্ঠান ছিল। জেলাস্তরের সফল খেলোয়াড়েরা তিনটি গাড়িতে চড়ে প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে যাচ্ছিল।” পথে উল্টোদিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে খেলোয়াড়দের একটি গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় চার জন আহত হয়। অন্য দিকে, মঙ্গলবার বিকালে রঘুনাথপুর থানার চিনপিনা গ্রামের কাছে, রঘুনাথপুর-বাঁকুড়া সড়কে একটি পথদুর্ঘটনায় অটো উল্টে মৃত্যু হয়েছে আলি হোসেন (৬০) নামে এক প্রৌঢ়ের। তাঁর বাড়ি সাঁতুড়ি থানার ফুলবেড়িয়া গ্রামে। একই ঘটনায় জখম হন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।
|
ধান কেনার দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
প্রতিটি পঞ্চায়েতে ধান কেনার কেন্দ্র খোলার দাবিতে বুধবার জেলা খাদ্য নিয়ামকের কাছে স্মারকলিপি দিল সারাভারত কৃষক ও খেত মজুর সংগঠন। সংগঠনের জেলা সভাপতি দিলীপ কুণ্ডুর অভিযোগ, “জেলার কোথাও চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হচ্ছে না। তাই ফড়েরাজ চলছেই। আবার ধান কেনার শিবিরও হচ্ছে কম।” |