ডার্বি ম্যাচের ঝামেলা মিটেও মিটছে না। ৯ ডিসেম্বর দল তুলে নিয়েও মোহনবাগানের নির্বাসন কেন মকুব করা হল, তা নিয়ে এ বার তথ্য জানার আইনের আশ্রয় নিলেন অশোকনগরের জনৈক রানা সরকার। এতে চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় ফেডারেশন কর্তারা।
দু’কোটির জরিমানা দিয়ে নির্বাসন তোলা নিয়ে বুধবার নতুন বিতর্কের মধ্যেই ফের জরিমানা হল বাগানের। সিকিম ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে বিরতির পর দেরিতে দল নামানোয় তাদের দশ হাজার টাকা জরিমানা করে রাতেই চিঠি পাঠাল ফেডারেশন।
নির্বাসন তোলার ব্যাপারে তাঁর আবেদনে ৪০৬/১ অশোকনগরের বাসিন্দা রানাবাবু ফেডারেশনের কাছে জানতে চেয়েছেন, “আইনের উপর ঐতিহ্য না ঐতিহ্যের উপর আইন? আমাকে জানানো হোক, কোন নিয়মে মোহনবাগানের দু’বছরের নির্বাসন তুলে নেওয়া হল। কেন শাস্তি হল না করিম বেঞ্চারিফার?” চিঠি পাওয়ার পর আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছেন ফেডারেশন কর্তারা।
এই চমকপ্রদ ঘটনার মাঝেই শুক্রবার ওএনজিসি-র বিরুদ্ধে রহিম নবিকে স্ট্রাইকার থেকে ফের রক্ষণে নিয়ে আসছেন করিম। নবি যদিও তাকিয়ে ওডাফার ফেরার দিকে। তাঁর কথায়, “দলকে জেতাতে যেখানে বলা হবে সেখানেই খেলব।”
নির্বাসন উঠে যাওয়ার পর তিন ম্যাচে দু’পয়েন্ট। বিপক্ষ কোচ আবার সন্তোষ কাশ্যপ। মোহনবাগানে যাঁর ছেড়ে দেওয়া কোচের জোব্বা গায়ে চড়িয়েছেন করিম। এ দিন ফোনে ধরা হলে সন্তোষ বললেন, “দেশের সবচেয়ে দামি কোচ আর ফুটবলার মোহনবাগানে। ওদের বিরুদ্ধে সেরা ফুটবলটাই খেলতে হবে। মনে রাখবেন আমরাও টানা ছয় ম্যাচ হারিনি।”
কাতসুমি, এরিক, যতীন বিস্তদের বিরুদ্ধে জয় আনতে শুরু থেকেই ঝাঁপাতে চাইছেন মোহন কোচ। ফের আক্রমণে টোলগে-ওডাফা জুটি। বুধবার টোলগে বললেনও, “ওডাফার সঙ্গে খেলে গোল করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।” বিপক্ষ কোচ চলতি মরসুমে মোহনবাগানের সব হাঁড়ির খবরই জানেন। সেটা কি বাড়তি চাপ? শুনে টোলগের জবাব, “দল অনেকটাই বদলে গিয়েছে। বিপক্ষ ফায়দা তুলতে পারবে না।” ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে মাঝমাঠে আস্থা নিয়ে খেলা নামিবিয়ার জেকবস কুঁচকিতে চোটের জন্য প্রথম এগারোয় অনিশ্চিত।
এ দিনই ৯ ফেব্রুয়ারির ডার্বির টিকিটের দাম জানাল আয়োজক মোহনবাগান। নজির সৃষ্টি করে সর্বনিম্ন টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। থাকছে ৩০০ এবং ৪০০ টাকার টিকিটও। |