|
|
|
|
প্রকল্পের অগ্রগতি দেখল সংখ্যালঘু কমিশনের দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সংখ্যালঘু উন্নয়নে কী কী প্রকল্প রয়েছে, সেই সব প্রকল্পের সুফলই বা কী, তা অনেকে জানেন না। ফলে, প্রকল্পের সুফলও নিতে পারেন না। পরিস্থিতি পাল্টাতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আরও বেশি সংখ্যক সচেতনতা শিবির করার জন্য রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের কাছে আর্জি জানাল ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু কাউন্সিল’। বুধবার দুপুরে মেদিনীপুর জেলা পরিষদ হলে এক শিবিরে বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠনের প্রতিনিধি, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই কাউন্সিলের জেলা সম্পাদক মির্জা আজিবুর রহমান বলেন, “এমন শিবির আরও বেশি হলে ভাল।”
বুধবার সকালে মেদিনীপুরে এসে প্রথমে বৈঠক করেন রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের প্রতিনিধিরা। দলে ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান এন্তাজ আলি শা, ভাইস- চেয়ারম্যান মারিয়া ফার্নান্ডেজ প্রমুখ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য প্রমুখ। |
|
কমিশনের দলের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র। |
প্রায় দু’ঘন্টা বৈঠক চলে। সংখ্যালঘু উন্নয়নে কেন্দ্রের ১৫ দফা কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য-শিক্ষা সবই রয়েছে। প্রকল্পগুলোর কাজ জেলায় কেমন চলছে, খোঁজ নেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। জেলায় কতগুলো মাদ্রাসা রয়েছে, সেখানে কতজন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে, তা-ও জেনে নেন। সংখ্যালঘু হস্টেলের খোঁজ নেন। বৈঠকে উঠে আসে কবরস্থানে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার বিষয়টিও। জেলার প্রায় ৩৯টি কবরস্থানে প্রাচীর তৈরির কাজ হওয়ার কথা। এ কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন কমিশনের সদস্যরা। বৈঠক শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “সংখ্যালঘু উন্নয়নের প্রকল্প নিয়ে খোঁজখবর নিতে এই বৈঠক। প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে, তা নিয়ে কথা হয়েছে।” পুলিশ আধিকারিকদের থেকেও কয়েকটি বিষয় জেনে নেন কমিশনের সদস্যরা। দুপুরে জেলা পরিষদ হলে শিবিরে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সুমন ঘোষ, সংখ্যালঘু দফতরের ভারপ্রাপ্ত জেলা আধিকারিক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। শিবিরে উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। জেনে নেন সংখ্যালঘু প্রকল্প সংক্রান্ত নানা বিষয়। |
|
|
|
|
|