সমর্থকদের হাতে ঘেরাও হলেন তৃণমূল কাউন্সিলর
তোলাবাজির অভিযোগে এক তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঘেরাও করে রাখল দলেরই সমর্থকেরা। যোগ দেন স্থানীয় মানুষও। দলের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। পুলিশ গিয়ে কাউন্সিলরকে উদ্ধার করে। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনীল মালাকার নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, সুনীলবাবু দীর্ঘদিন ধরে তোলাবাজি-সহ অন্যান্য দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তারই প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার রাতে পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক তারক বিশ্বাসকে মারধর করে কাউন্সিলরের লোকজন। ওই ঘটনার প্রতিবাদেই বুধবার সকাল থেকে কয়েকশো মানুষ ব্যান্ডেলের কেওটা হেমন্ত বসু কলোনিতে পুরসভা পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে। ভাঙচুরও চলে। সুনীলবাবু তখন ভিতরেই ছিলেন।
প্রহৃত তৃণমূল নেতা। —নিজস্ব চিত্র।
অভিযোগ, কাউন্সিলর এলাকার পরিষেবা নিয়ে উদাসীন। স্থানীয় বিধায়ক ও পুরপ্রধানের মদতে বিভিন্ন জায়গায় তোলাবাজির সঙ্গে তিনি যুক্ত। এ নিয়ে বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। সুনীলবাবুর অবশ্য বক্তব্য, “আমার নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমি বা দলের কেউ মারধরে যুক্ত নয়। সিপিএম ছেড়ে আমাদের দলে যোগ দেওয়া কিছু লোক তারককে মারধর করে।” তারকবাবু অবশ্য বলেন, “কাউন্সিলর এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেন না। প্রমোটারদের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা। পুরসভার বিভিন্ন ব্যাপারেও দুর্নীতি করছেন তিনি। এ সবের প্রতিবাদ করাতেই আমাকে মারধর করা হল।”
স্থানীয় বিধায়ক তপন মজুমদারের দাবি, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এ সব করছে সিপিএমের বহিরাগত দুষ্কৃতীরা।” পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “কোনও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রশাসনিক তদন্ত করা হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.