প্রকাশনা নয় আলুর ব্যবসায় বিনিয়োগের লোভনীয় ‘অফার’ বইমেলায়। ‘পনেরো মাসের জন্য এক লাখ টাকা আলুর বাজারে বিনিয়োগ করলে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা তো পাবেনই, ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।’ ৫৮% লাভের গ্যারান্টি দিয়ে সেই বন্ড বিক্রি হচ্ছে বইমেলায়। একেবারে এক নম্বর গেটের সামনে বইয়ের স্টলের লাগোয়া একটি স্টল থেকে দেদার বিকোচ্ছে এই অফার। |
বই ছাড়াও হরেক রকমের সামগ্রীর কেনাবেচা অনেক দিন আগেই শুরু হয়েছে বইমেলায়। কিন্তু আলুর ব্যবসায় বিনিয়োগের এহেন ‘অফার’ এই প্রথম। বইমেলায় যে আলুর ব্যবসারও রমরমা হয়ে উঠবে, তা কোনও বইপ্রেমীর দূরতম কল্পনাতেও ছিল না। যাঁরা বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই স্টল তৈরির অনুমতি দিয়েছেন, সেই গিল্ড-কর্তারাও নাকি জানতেন না ওই স্টল আলুর ব্যবসা ফেঁদে বসেছে। বইমেলার উদ্যোক্তা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু দে বললেন, “তাই নাকি! আমি তো জানি না। এই রকম কিছু হয়ে থাকলে খুবই অন্যায় হয়েছে। ওই স্টল যাঁরা করেছেন, তাঁদের তো মেলায় খাবার বিক্রির কথা।” তাঁরা মেলার ভিতরে নানা স্টলে বিরিয়ানি-মাংসও বিক্রি করছেন। এরই মধ্যে ক্রমে ভিড় বাড়ছে মেলায়। মঙ্গলবারের চেয়ে অনেক বেশি ভিড় ছিল বুধবার। অনেকেই শনি-রবির ঠাসাঠাসি ভিড় এড়াতে আগেভাগে সেরে নিচ্ছেন কেনাকাটা। বইমেলা দেখে মনে করার উপায় নেই, এ দিনই উদ্বোধন নির্দিষ্ট ছিল। আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার মতো বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি বইমেলা শুরু হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছেয় সেই সব হিসেব ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। তবে মানতেই হবে, বইয়ে-ভিড়ে, খাওয়ায়-দাওয়ায় মেলা জমে গিয়েছে। |