কলেবরে বাড়ল কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ। নতুন তিন জন মেয়র পারিষদ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রদবদল হল দফতরগুলিরও। আর এর ফলে কার্যত পুরসভার আয় বাড়ানোর মতো সব ক’টি দফতর থাকল মেয়রের হাতে। তৃণমূলের অন্দরে এটিকে মেয়রের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ‘আস্থার’ প্রকাশ বলে কেউ কেউ ব্যাখ্যা করছেন।
বুধবার শপথ নেওয়া তিন মেয়র পারিষদের মধ্যে স্বপন সমাদ্দার পেলেন বস্তি উন্নয়ন, রাস্তার দায়িত্ব পেলেন সুশান্ত (স্বরূপ) ঘোষ। শিক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হল মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শশী পাঁজা পরিষদীয় সচিব পদে যোগ দেওয়ায় শিক্ষা দফতর খালি হয়েছিল। কলকাতার পুর-এলাকা বেড়ে যাওয়ার জন্য মেয়র পরিষদের আকার বাড়িয়ে নেওয়া হল বাকি দু’জনকে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মাত্র দু’মাস আগে কলকাতা রাস্তা ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পান স্বাস্থ্যের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। বুধবার রাস্তা তাঁর হাত ছাড়া হল। একই সময়ে বস্তি উন্নয়ন পেয়েছিলেন তারক সিংহ। এ দিন দেবাশিস কুমারের হাত থেকে পুর-বাজার গেল তারকবাবুর হাতে। দেবাশিসবাবুর হাতে রইল তাঁর সাবেক পার্ক ও উদ্যান। |
রদবদলে সবচেয়ে বড় চমক রাস্তা ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভেঙে দু’টি দফতর করা। পুরসভার একাধিক অফিসারের মতে, “আজ পর্যন্ত রাস্তা ও ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর কখনও ভাঙা হয়নি।” এখন শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং অতীনবাবুর সঙ্গে থাকল। রাস্তা ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভেঙে দু’টি দফতর করার কী দরকার ছিল? অতীনবাবু বলেন, “কাজের সুবিধায় ওই দু’টি দফতর একই হাতে রাখা হত। আমার মতে ওই দফতর ভাঙায় পুর পরিষেবার কাজে অসুবিধা হবে।” ক্ষোভ বাড়ছে বাজার ও বস্তি দফতর হস্তান্তর নিয়েও।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “পরিষদের নতুন সদস্যদের তো পূর্ণ দফতর দিতে হবে। তাই রাস্তা, বস্তি ও পুর বাজার দফতরগুলি হাত বদল করতে হয়েছে। তবে রাস্তা, ইঞ্জিনিয়ারিং আলাদা হওয়ায় কাজে সমস্যা হবে না।” একাধিক মেয়র পারিষদের প্রশ্ন, কোন মূল্যায়নের উপরে ভিত্তি করে ওই দফতরগুলি হাত বদল করলেন মেয়র? তাঁর হাতে তো বিল্ডিং, জল, লাইসেন্স, কর-মূল্যায়ন, আইন ও স্টোর্স এই ৬টি দফতর রয়েছে। সেগুলি তো হাত ছাড়া হল না? |