বধূ হত্যার পৃথক দু’টি মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। বুধবার রামপুরহাট আদালতে ওই সাজা শোনান দুই বিচারক। দু’টি মামলারই অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণবাবু জানান, মুরারই থানার ধনঞ্জয়পুর গ্রামের যুবক নবাতুল শেখের সঙ্গে ওই থানারই বাজিতপুর গ্রামের মেয়ে তনুজা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয় ২০১১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। ২১ জুন তনুজার বাবা সবুর শেখ থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ করেন। তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, জামাই মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত ও প্রাণনাশের হুমকি দিত। পুলিশ জানায়, ওই বছর ২০ জুন মেয়ে-জামাই শ্বশুরবাড়িতে ছিল। পরের দিন সকালে দু’জনকে ঘরে দেখতে পাননি সবুর শেখরা। লোকমুখে জানতে পারেন, মেয়ে-জামাই বালিয়াড়া রাস্তার ধারে পড়ে আছে। তনুজা বিবিকে পুলিশ মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং নবাতুল মরার ভান করে পাশেই শুয়ে ছিল। এর পরেই খুনের অভিযোগ-সহ বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হয়। বুধবার রামপুরহাট ফাস্ট ট্র্যাক প্রথম আদালতের বিচারক সুধীর কুমার নাবাতুলকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও আড়াই বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
অন্য দিকে, এ দিনই ময়ূরেশ্বর থানার পাখুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তাপস দাস ও মা মিনতি দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন রামপুরহাট ফাস্ট ট্র্যাক দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক কুমকুম সিংহ। অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মুর্শিদাবাদের বড়োয়া থানার দেবগ্রামের বাসিন্দা সোনামনি দাসকে স্বামী তাপস দাস ও শাশুড়ি মিনতি দাস খুন করে বলে অভিযোগ হয়েছিল। ঘটনার তিন বছর আগে সোনামনির বিয়ে হয়েছিল। ২০১১ সালের ২৭ অগস্ট দুপুরে শ্বশুরবাড়ির পড়শিদের কাছ থেকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পান বাবা সুকুমার দাস। ওই দিন দুপুরে শ্বশুরবাড়ির বারান্দায় মৃত অবস্থায় একা মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন সুকুমারবাবু। পরে তিনি জামাই ও শাশুড়ি মিলে মেয়েকে খুন করেছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন। এ দিন বিচারক দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। |