১০০ দিন কাজের প্রকল্পে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল এক সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যে বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তৃণমূল সংশ্লিষ্ট বিডিওকে ওই সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তও শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত ময়ূরেশ্বরের দাসপলশা পঞ্চায়েতের সেই সদস্য ফরিদা বিবি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১-১২ অর্থবর্ষে এলাকার মল্লিকপুকুরে মাটি কাটা ও ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে একটি নালা সংস্কারের জন্য ১০০ দিন কাজের প্রকল্পের প্রায় ২ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। স্থানীয় তৃণমূলের দাবি, সম্প্রতি পুকুর কাটার জন্য ফরিদা বিবি ওই প্রকল্পের জব ওয়ার্কারদের সঙ্গে যোগসাজস করে দলীয় জব কার্ডধারীদের নামে টাকা তুলে ভাগ বাটোয়ারা করেছেন। তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল কমিটির সভাপতি জুল্লু রহমানের অভিযোগ, “দীর্ঘ দিন ধরে পুকুরে জল ভর্তি রয়েছে। অথচ ফরিদা বিবি দলীয় কর্মী সমর্থকদের নামে টাকা তুুলে ভাগ করে দিয়েছেন। একই ঘটনা ঘটেছে নালা সংস্কারের ক্ষেত্রেও।”
ফরিদা বিবি অবশ্য জানিয়েছেন, টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “পুকুরে যে সময় জল ছিল না, সেই সময়ই কাজ করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই কাজের বকেয়া কিছু টাকা কাজের সঙ্গে যুক্ত মজুরদের নামে মাস্টাররোলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মাত্র। সংস্কার করা হয়েছে নালাও।” তাঁর পাল্টা দাবি, “সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিক কারণেই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”
পঞ্চায়েতের প্রধান, বিজেপি-র প্রতিমা বাগদি জানিয়েছেন, বিডিও অফিস থেকে ওই অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। বিডিও-র নির্দেশ মাফিকই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য দিকে, সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের যুগ্ম বিডিও মলয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” |