নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের বিরোধী দল বামফ্রন্ট অনেক দিন ধরেই বলে আসছে, ফসলের যথাযথ দাম না-পেয়েই চাষিরা আত্মহত্যা করছেন। এই মর্মে এক আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি শুরু হয় প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে।
আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এ দিন ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, ২০১১ সাল থেকে রাজ্যে ক্রমাগত কৃষকের আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার কৃষকের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কিনছে না। তাই কৃষকেরা ব্যাঙ্ক বা মহাজনের কাছ থেকে চাষের জন্য যে-ঋণ নিয়েছিলেন, তা শোধ করতে পারছেন না। নিরুপায় হয়েই তাঁরা আত্মঘাতী হচ্ছেন।”
এ-পর্যন্ত ৭৮ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে আবেদনে জানানো হয়েছে। এই দাবির সমর্থনে কোনও তথা আছে কি না, ডিভিশন বেঞ্চ তা জানতে চাইলে বিকাশবাবু জানান, তাঁদের হাতে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে।
ডিভিশন বেঞ্চ এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চায়। জিপি অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদনের একটি অংশ উল্লেখ করে বলেন, “যাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে আবেদনে জানানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক জনের ২২ একর কৃষিজমি রয়েছে। যাঁর ২২ একর কৃষিজমি রয়েছে, তাঁর পক্ষে ব্যাঙ্ক বা মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া ৫০ হাজার টাকা শোধ করা আদৌ অসুবিধাজনক নয়। তাই ঠিক দাম না-পেয়ে কৃষকেরা আত্মহত্যা করছেন, এই অভিযোগ যুক্তিসঙ্গত নয়।”
দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, কেন কৃষকেরা আত্মহত্যা করছেন, হলফনামা পেশ করে তা জানাতে হবে। সেই সঙ্গে আবেদনকারীর আইনজীবীকেও তাঁদের হাতে থাকা তথ্য আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে এক সপ্তাহ পরে। |