|
|
|
|
ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ |
ছাত্র সংসদ ভোটের ফলপ্রকাশে স্থগিতাদেশ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
আজ, বুধবার ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ফলপ্রকাশ করা যাবে না। পরবর্তী সময়ে আদালত যা নির্দেশ দেবে, সেই মতো পদক্ষেপ করতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
মনোনয়নপত্র তুলতে না-পেরে রাজ কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএফআই। বিচারপতি প্রসেনজিৎ মণ্ডলের এজলাসে এসএফআইয়ের তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী অশোক মাইতি এবং শাক্য মাইতি। তার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার এই নির্দেশ হয়। আইনজীবী শাক্য মাইতি বলেন, “ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে একতরফা ভাবে নির্বাচন হচ্ছে। শুধুমাত্র একটি ছাত্র সংগঠনের (টিএমসিপি) সমর্থকেরাই মনোনয়নপত্র তুলে তা জমা দিতে পেরেছেন। হাইকোর্টে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছিলাম। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের ফলপ্রকাশ করা যাবে না বলে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে।” পাশাপাশি, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসককেরও বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত।
২০০৮ সাল পর্যন্ত রাজ কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় ছিল এসএফআইয়ের নেতৃত্বাধীন ‘বাম ছাত্র ঐক্য’। ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর রাজ কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দিন স্থির হয়। সে বার মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না-পেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এসএফআইয়ের নেতৃত্বাধীন ‘বাম ছাত্র ঐক্য’। ২০১২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। পরবর্তী এক নির্দেশে আদালত জানায়, মহকুমাশাসকের তত্ত্বাবধানে রাজ কলেজে নির্বাচন করতে হবে। সেই মতো ১৬ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র সংগ্রহের দিন নির্দিষ্ট হয়। এসএফআইয়ের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তাদের সব ক’টি মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়ে চলে যান টিএমসিপির নেতা-কর্মীরা। ৩৮টি আসনের মধ্যে কেবলমাত্র টিএমসিপি একতরফা ৩৬টি আসনে প্রার্থী দেয়। টিএমসিপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এসএফআই। আজ, বুধবার ছাত্র সংসদের নির্বাচন। অন্য কোনও সংগঠনের প্রার্থী না-থাকায় ওই ৩৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার কথা টিএমসিপি সমর্থকদের। তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর কলেজ কর্তৃপক্ষ আর তাঁদের জয়ী বলে ঘোষণা করতে পারবেন না। এসএফআইয়ের জেলা কমিটির সদস্য সৌতম মাহাতো বলেন, “আদালতের উপর আস্থা রয়েছে। আমরা জানি, অবাধ নির্বাচন হলে কলেজের সংখ্যাগরিষ্ঠ ছাত্রছাত্রী বামপন্থী সংগঠনের প্রার্থীদেরই সমর্থন করবেন।” টিএমসিপি’র ঝাড়গ্রাম মহকুমা সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, “ওরা কোনও প্রার্থী পায়নি। মুখ রক্ষা করতে কিছু সংবাদমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে নানা ধরনের গল্প ফাঁদছে।” |
|
|
|
|
|