|
|
|
|
ছাত্রীদের মারধর, রেপার নির্দেশ মেনে শিক্ষক বদলি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ছাত্রীদের মারধর ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষককে বদলির নির্দেশ দিল ‘রাইট টু এডুকেশন প্রোটেকশন অথরিটি’ (রেপা)। সম্প্রতি এই নির্দেশ এসে পৌঁছেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে। সংসদের চেয়ারম্যান স্বপন মুর্মু বলেন, “রেপার নির্দেশ মতো ওই শিক্ষককে অন্য স্কুলে বদলি করা হবে।”
শিক্ষার অধিকার আইন যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করতে তৈরি হয়েছে ‘রেপা’। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গে গড়ে ওঠে নজরদারি এই কমিটি। জেলায় এর কোনও শাখা নেই। কলকাতা থেকে কমিটি কাজ করে। রেপার নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির ঘটনা এই প্রথম।
ছাত্রছাত্রীদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ হামেশাই ওঠে। মেরে রক্ত বের করে দেওয়া থেকে যৌন হেনস্থা, বাদ পড়ে না কিছুই। থানা-পুলিশও হয়। বিদ্যালয় সংসদে অভিযোগ জমা পড়লে তারাও ব্যবস্থা নেয়। গত দেড় বছরে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০ জন শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ চেয়ারম্যান।
গত বছর অক্টোবরে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে খড়্গপুর ১ ব্লকের খেলাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর লোয়ার বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শিক্ষক রামানন্দ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীর অভিযোগ ছিল, ওই শিক্ষক তাদের মারধর ও মানসিক নির্যাতন করেন। জেলা শিক্ষা দফতরে অভিযোগ পৌঁছয়। তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) শিশিরকুমার মিশ্র। অভিযোগ পৌঁছয় রেপার কাছেও। রেপা কর্তৃপক্ষ শুনানির বন্দোবস্ত করেন।
গত ডিসেম্বরে ওই শুনানিতে অভিযোগকারী ছয় জন ছাত্রী, তাদের অভিভাবক, স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ মিশ্র এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে তলব করা হয়। রেপার তরফে শুনানিতে ছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সাধনকুমার গুপ্ত, সদস্য চৈতালি মুখোপাধ্যায়, বিজলি ঘোষ প্রমুখ। এরপরই অভিযুক্ত শিক্ষককে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। রেপা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট স্কুলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ।
ছাত্রীদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত অক্টোবরে খড়্গপুর লোকাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই মামলাও চলছে। |
|
|
|
|
|