রামধনু শটে জয় আনলেন সুবোধ
ইস্টবেঙ্গল-১ (সুবোধ)
ভবানীপুর-০
রাঁচির হিনুতে তাঁর বাড়ি থেকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রাসাদের দূরত্ব মোটে পাঁচ কিলোমিটার। বাড়ির পনেরো জন সদস্যের বেশির ভাগই গর্বিত ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের জন্য। কলকাতায় লাল-হলুদ জার্সি গায়ে ঘরের ছেলে কী করছে তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই কারও। মঙ্গলবার ঘরোয়া লিগে সুপার নাইনের ম্যাচে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে রামধনুর মতো বাঁকানো ফ্রি-কিকে যে গোলটা সুবোধ করলেন তা দেখলে বোধহয় গর্বে বুক ফুলে উঠত তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও। হয়তো আগামী দিনে মাঠমুকো হবে তাঁর পরিবার।
খেলা শেষে মুখচোরা মিডফিল্ডার বলে গেলেন, “পরিশ্রমের সুফল।” ডান পায়ে বাইশ গজ দূর থেকে সুবোধের দর্শনীয় গোল দেখে মর্গ্যানের রসিকতা, “অনুশীলনে রোজই বাইরে মারে। আজ গোল করল।”
ইস্টবেঙ্গলকে জিতিয়ে সুবোধ।
ব্যারেটো বনাম বরিসিচ ডুয়েল দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন দর্শকরা। কিন্তু কাফ মাসলের ব্যথা না সারায় মাঠেই নামলেন না ভবানীপুরের ব্যারেটো। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে কাবু লিমাও নেই। কোচ রবসনও দেশে। ম্যাচের পর ব্যারেটোর আক্ষেপ, “খেলতে চেয়েছিলাম। মাঠে থাকলে অন্য রকম ফল হতেই পারত।”
এ রকম অগোছালো দলের বিরুদ্ধেও প্রথমার্ধ গোলশূন্য। ম্যাচের এই সময় ডান দিক থেকে সৈকত-ভাসুমের যুগলবন্দিতে দুরন্ত ওভারল্যাপ রয়েছে। রয়েছে কেভিন লোবোর বাড়ানো গোটা পাঁচেক ঠিকানা লেখা পাসও। কিন্তু গোল হয়নি রবিন সিংহের ব্যর্থতায়। কোভারম্যান্সের সংসারে দরজা বন্ধ। বক্সে করমর্দনের দূরত্বে গোল করতে না পারলে মর্গ্যানের সংসারেও তাঁর আয়ু কমতে পারে অচিরেই। তাঁর সঙ্গে মাঠে পাল্লা দিয়ে ঔজ্জ্বল্য কমছে পেনেরও।
আক্রমণে রবিনের সঙ্গী অ্যান্ড্রু বরিসিচ আবার অক্টোবরের পর এ দিনই প্রথম নব্বই মিনিট মাঠে থাকলেন। কিন্তু এ দিন অন্তত আহামরি নয়। জায়গা জুড়ে খেলেন, টাচ ভালো। প্রয়োজনে নিচে নেমে এসে রক্ষণে ভরসাও জোগান।
দর্শক ব্যারেটো।
কিন্তু লাল-হলুদে তো গোলটা চেনে এমন স্ট্রাইকার দরকার। সেটা তিনি করলেন কোথায়? উল্টে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ভবানীপুর বক্সে চার গজের মধ্যে হেড দিলে যে বল গোলে ঢোকে সেটা তিনি গোলে রাখার বদলে বক্সের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন। যদিও তাঁর কোচ বলছেন, “সকলেই ওর সঙ্গে টোলগের তুলনা করছেন। একটা ম্যাচ দিয়ে কিন্তু কিছু বিচার হয় না।”
সুবোধের গোলের পর পেন-রবিনকে তুলে মননদীপ এবং বলজিৎকে নামিয়ে ৪-৪-২ থেকে ৪-৩-৩ গিয়েছিলেন মর্গ্যান। কিন্তু তাতেও ব্যবধান বাড়েনি।
প্রতি আক্রমণে এই সময়ে গোলের চেষ্টা করেছিলেন ভবানীপুরের জগন্নাথ, নবীনরা। কিন্তু ওপারাদের সামনে খেই হারিয়ে ফেলায় সুপার নাইনের প্রথম ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে অসুবিধা হয়নি ইস্টবেঙ্গলের।

ইস্টবেঙ্গল: গুরপ্রীত, সৈকত, ওপারা, গুরবিন্দর, রবার্ট, ভাসুম (অ্যালভিটো), সুবোধ, পেন (বলজিৎ), লোবো, বরিসিচ, রবিন (মননদীপ)।

ছবি: শঙ্কর নাগ দাস




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.