জেলাশাসককে হাইকোর্টে তলব
খড়্গপুর পুরসভা নিয়ে মামলার জের
শ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসককে সশরীরে হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস। খড়্গপুরের পুরপ্রধান পদে কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিশঙ্কর পাণ্ডেকে কেন প্রশাসনিক ভাবে শপথ গ্রহণ করানো হয়নি, সে কথা জানতে চেয়েই হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে জেলাশাসককে।
খড়্গপুর পুরসভায় ক্ষমতাসীন ছিল তৃণমূল। কংগ্রেসের তরফে অনাস্থা আনা হয়। অনাস্থা সংক্রান্ত বৈঠক ও ভোটাভুটিও হয়। কংগ্রেসের দাবি ছিল, তাতে হার হয়েছে তৃণমূলের। নতুন পুরপ্রধান হয়েছেন দলীয় কাউন্সিলর রবিশঙ্কর পাণ্ডে। তৃণমূলের তরফে অবশ্য অনাস্থা বৈঠকের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়। এ নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছে। শেষে পুর দফতরের নির্দেশে তৃণমূলের পুরপ্রধান জহরলাল পাল দায়িত্ব ছেড়ে দেন। তাঁর দায়িত্ব সামলাতে শুরু করেন উপ-পুরপ্রধান তুষার চৌধুরী। এই নির্দেশকে ‘চ্যালেঞ্জ’ করেই হাইর্কোটে মামলা করে কংগ্রেস।
তুষারবাবু অবশ্য বলেন, “নির্দেশ মেনেই আমি পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছি। এ নিয়ে আদালতের তরফে আমার কাছে আর কিছু জানতে চাওয়া হয়নি।” আর রবিশঙ্করবাবুর বক্তব্য, “আদালতের উপর আস্থা আছে। নিশ্চয়ই সুবিচার পাব।”
মঙ্গলবার মামলার শুনানির চলাকালীন কংগ্রেসের আইনজীবীরা আদালতে জানান, খড়্গপুর পুরসভা জেলাশাসককে জানিয়েছিল যে কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিশঙ্কর পাণ্ডেকে পুরপ্রধান নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও জেলাশাসক নীরব থাকেন। জেলাশাসকের এই নীরবতা এবং নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ হয়েই তাঁকে আদালতে ডেকে পাঠান বিচারপতি।
খড়্গপুর পুরসভায় মোট আসন ৩৫টি। তৃণমূল ১৪, কংগ্রেস ১৫, বামফ্রন্ট ৪, বিজেপি ১ ও একজন নির্দল কাউন্সিলর রয়েছেন। বিজেপির সমর্থন নিয়ে অনাস্থা এনেছিল কংগ্রেস (১৫+১)। আর তৃণমূলের দিকে ছিল নির্দলের সমর্থন (১৪+১)। বামেরা অনাস্থার ভোটাভুটিতে যোগ দেয়নি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.