|
|
|
|
ডেবরার স্কুলে সৌজন্য |
তৃণমূল নেতাকে মনোনীত করলেন সিপিএম সভাপতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘আমরা-ওরা’ নয়, রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়। পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি স্থানীয় স্কুলে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে।
মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান থেকে প্রশাসনিক বৈঠক, বিরোধীদের আমন্ত্রণ না জানানো এ রাজ্যে এখন রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে কেন এমন ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত? ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি বন্দনা মণ্ডলের জবাব, “আমরা ভাল কাজের পক্ষে। রঙের পক্ষে নই।” সিপিএমের ডেবরা জোনাল সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডলও বলেন, “ওই তৃণমূল নেতা এলাকাতেই থাকেন। স্কুলের কাজে তাঁর অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তাই ওঁকে মনোনীত করা হয়েছে।” আর তৃণমূলের ডেবরা ব্লক সভাপতি রতন দের বক্তব্য, “আমার বাড়ির কিছু দূরেই স্কুল। আগে আমিই স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক ছিলাম। স্কুলের উন্নয়নে সব চেষ্টা করব।”
ডেবরার অর্জুনি হাইস্কুলের পরিচালন সমিতিতে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয় গত ২৩ ডিসেম্বর। ছটি আসনের সবকটিতে জেতেন তৃণমূল সমর্থিতেরা। এই এলাকাতেই বাড়ি তৃণমূলের ডেবরা ব্লক সভাপতি রতন দের। রতনবাবু পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতাও। ২০১০ সাল থেকে তিনি ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদকও ছিলেন। এ বার অবশ্য নির্বাচনে প্রার্থী হননি। সম্প্রতি কয়েকটি স্কুলের পরিচালন সমিতিতে তাঁর মনোনীত সদস্যদের নামের তালিকা তৈরি করেন সভাপতি বন্দনাদেবী। সেই তালিকাতেই অর্জুনি হাইস্কুলের জন্য তিনি রতনবাবুর নাম মনোনীত করেন। এই সিদ্ধান্তের কথা লিখিত ভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু দেকেও জানানো হয়েছে। রতনবাবুকে মনোনীত করা প্রসঙ্গে বন্দনাদেবীর ব্যাখ্যা, “উনি ওই স্কুলে ভাল কাজ করেছেন। শিক্ষকেরাও চাইছিলেন ওঁকে পঞ্চায়েত সমিতির মনোনীত সদস্য করা হোক। আমরা সব সময়ই ভাল কাজের পক্ষে।”
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন পরিচালন কমিটি গঠন হওয়ার কথা। নতুন কমিটির সম্পাদকও কি রতনবাবু হবেন? স্কুলের এক শিক্ষকের কথায়, “অধিকাংশ সদস্য চাইলে রতনবাবুই সম্পাদক হবেন। ওঁর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।” |
|
|
|
|
|