|
|
|
|
পাঁচ বছরের শিশুর উপর যৌন হেনস্থা, ধৃত পড়শি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
এক যুবকের পাশবিক লালসার শিকার হল পাঁচ বছরের এক শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে করিমগঞ্জ জেলার সুপ্রাকান্দিতে। সে এখন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। অভিযুক্তকে আজ সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে কে গুপ্ত জানান, মেয়েটি কাল সন্ধ্যায় তাদের দোকানে গিয়েছিল। বাড়ি আর দোকান কাছাকাছি বলে প্রায়ই সে এ-ভাবে যাতায়াত করে। কাল অন্ধকার হয়ে আসায় তার বাবা মুন রায় নামে স্থানীয় এক যুবককে ডেকে মেয়েকে বাড়ি পৌঁছে দিতে বলেন। এর পর থেকেই তার খোঁজ নেই। বাড়ির সবাই ধরে নিয়েছিল, সে দোকানেই রয়েছে। বাবার সঙ্গে রাতে ফিরবে। কিন্তু রাতে বাবা একা বাড়ি ফিরতেই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি, কান্নাকাটি। কোথাও পাওয়া যায়নি তাকে। মুন জানায়, পথে যে বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে শিশুটি সেখানেই ঢুকে পড়ে। নিজেই চলে যাবে বলায় সে চলে এসেছে।
আজ ভোরে শিশুটিকে গ্রামেরই এক মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না বলে পরে সেখানকার ডাক্তাররা শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কথায়, ‘‘ডাক্তাররা বলেছেন, যৌন হেনস্তা করা হয়েছে।” পাড়ার লোকজন জানায়, মেয়েটি শব্দ করবে বলে তার মুখে সম্ভবত কাপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চোয়াল প্রায় ভেঙেই গিয়েছে। একদম কথা বলতে পারছে না। মা-বাবাকে দেখে শুধুই কেঁদে চলেছে। পুলিশ তদন্তে নেমে মুনকে গ্রেফতার করেছে। নিলামবাজার থানার ওসি তনবির আহমদ জানান, জেরায় সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে। যে বিয়েবাড়ির কথা সে উল্লেখ করেছে, সেই বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, শিশুটি কাল সেখানে যায়ইনি। বছর কুড়ির ওই যুবকের আচার-আচরণে অস্বাভাবিকতা রয়েছে। আট মাস আগেও সে ১১ বছরের আর-এক শিশুকে যৌন হেনস্তা করতে যায়। বাধা দিলে তাকে কামড়ে দেয়। পাড়ার সভায় সেই ঘটনার নিষ্পত্তি হয়েছিল। ওসি-র অনুমান, কাল মেয়েটিকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলেও পরে সে ধান খেতে নিয়ে যায়। মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় সে তাকে ফেলে দিয়ে বাড়ি চলে আসে। |
|
|
|
|
|