|
|
|
|
আন্তঃরাজ্য চুরি-চক্রের হদিস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
রাজস্থানের একটি দুষ্কৃতী দল বেশ কয়েক দিন ধরে শিলিগুড়িতে ঘাঁটি গেড়ে বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার অফিসে লুঠের ছক কষেবলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। পরিকল্পনা মতো মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার কাজে পুলিশি ব্যস্ততাকে কাজে লাগিয়ে নয়াবাজারের ওই অফিসে হানা দেয় তারা। পুলিশ সন্দেহ করছে, রাজস্থানের যে দলটি সোমবার বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার অফিসে হানা দিয়েছিল তারা একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। গত এক বছরে দিল্লি, মুম্বই যে ছিনতাই বা লুঠের ঘটনা ঘটেছে তাতেও ওই দলের সদস্যরা যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “আমরা কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছি না। দিল্লি, মুম্বইয়ের কোনও অপরাধের সঙ্গে অভিযুক্তরা যুক্ত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একজকে ধরা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্রুত বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সহজ হবে বলে আশা করছি।” এদিন ধৃত মহম্মদ ফারুককে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, যে চারজন ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বাড়ি রাজস্থানের বিকানীরে। পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কয়েকদিন আগে জংশনের একটি হোটেলে ঘাঁটি গেড়ে নয়াবাজারের উপরে নজরদারি শুরু করে ওই দুষ্কৃতী দলের সদস্যরা। নয়াবাজারের ঢোকার যে রাস্তা রয়েছে, সেগুলিতে একাধিক বার গিয়ে তারা দুষ্কর্মের পর কিভাবে পালাবে তার ছক কষে। ওই দিন বিকাল ৩টা নাগাদ প্রধাননগরের ওই হোটেল থেকে বেরিয়ে নয়াবাজারে যায়। গ্রাহকের বেশে তারা ভেতরে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুঠপাট চালায়। বেরিয়ে যাওয়ার পথে একজন জনতার হাতে ধরা পড়ে। ওই ঘটনার পর শিলিগুড়ি থানার নয়াবাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। শিলিগুড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ওমপ্রকাশ অগ্রবাল বলেন, “যথেষ্ট পুলিশি নিরাপত্তা না থাকার জন্যই দুষ্কৃতীরা এমন সাহস পেয়েছে। নয়াবাজারে দিনভর প্রচুর মানুষ থাকেন। শ্রমিকরা কাজ করেন। তার পরেও দিনের বেলায় দুষ্কৃতীদের বেপারোয়া ভাব ভয়ের কারণ। সে কথা পুলিশকে জানানো হয়েছে।” শিলিগুড়ির সিপিএম নেতা সঞ্জয় টিব্রুয়াল অভিযোগ করেন, বাজারে ঢোকার ৪ রাস্তার মুখে আগে পুলিশের নজরদারি থাকলেও এখন তা নেই। তিনি বলেন, “কিছুদিন ধরে খালপাড়া এলাকায় মহিলাদের হার ছিনতাই, বাইক চুরির ঘটনা ঘটেছে। দলের তরফে আমরা কয়েক দফায় পুলিশকে তা জানিয়েছি। কমিশনারেট হওয়ায় নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে বলে সবাই আশা করেছিল, তা হয়নি।” |
|
|
|
|
|