|
|
|
|
তোমর-মৃত্যু |
নিয়ম না মানায় দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনা কোর্টের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
সুভাষ সিংহ তোমরের মৃত্যুর কারণ জানতে সিবিআই তদন্ত করা উচিত কি না তা নিয়ে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নিয়ম মেনে রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় পুলিশ কমিশনারকে হাইকোর্টে টেনে নিয়ে আসার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিচারপতি জি পি মিত্তল।
দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের সামলানোর দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল তোমর। ২৩ ডিসেম্বর অসুস্থ তোমরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’দিন পরেই মারা যান তোমর। সহকর্মীদের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা তোমরকে কিল-চড়-ঘুঁষি মারে। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তোমর। এই ঘটনায় আট যুবকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলাও করা হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তোমরকে মারধর করা হয়নি। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন তোমর। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই দিল্লি পুলিশ মিথ্যে মামলা করেছে। যে আট জনের বিরুদ্ধে তোমরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা তখন ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলেও দাবি করা হয়েছে।
তোমরের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার দাবিতে একটি মামলা করেন আইনজীবী জি কে বনশল। সেই মামলা প্রসঙ্গে সিবিআই তদন্তের বিষয়ে দিল্লি পুলিশের মত জানতে চেয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) এস বি এস ত্যাগী একটি রিপোর্ট জমা দেন। কিন্তু সেই রিপোর্টের বিরোধিতা করেন বনশল অভিযোগ করেন, নিয়ম মেনে রিপোর্ট জমা পড়েনি। হলফনামা দাখিল করে পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। তা না করায় আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর পরেই দিল্লি পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন বিচারপতি জি পি মিত্তল। তিনি বলেন, “যে ভাবে রিপোর্ট জমা পড়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। আপনারা কি চান অন্যান্য পক্ষের মতো পুলিশ কমিশনারকেও আদালতে ডেকে আনা হোক? আমি সেটা করতে পারি।” স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, দিল্লি সরকার এবং দিল্লি পুলিশকে এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়ম মেনে হলফনামা পেশ করার আদেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। অভিযুক্ত আট যুবক যে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন সেই প্রসঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দিল্লি পুলিশকে একটি আলাদা হলফনামা জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট। নিয়ম মেনেই বক্তব্য জানানো হবে বলে দিল্লি পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সিদ্ধার্থ লুথরা জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|